Home » বেরোবিতে বহিরাগতের হাতে ৬ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত: সড়ক অবরোধ

বেরোবিতে বহিরাগতের হাতে ৬ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত: সড়ক অবরোধ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বেরোবি) ছয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী  বহিরাগতের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন।  আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার  বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কমোড়ে এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বেরোবি ছাত্রলীগ নেত্রীসহ আরও পাঁচ কর্মী আহত হয়। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিনকে ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযোগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কমোড়ে তথ্যবুথের নামে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাগ ও মোবাইল রাখার জন্য থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিল এক দোকানদার জাকির।
ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস এলাকায় প্রায় ৮০ টির মত বিভিন্ন সংগঠনের তথ্যবুথ রয়েছে। তবে স্থানীয় ওই দোকানদার তথ্যবুথের নামে টাকা নেওয়ায় এর প্রতিবাদ জানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেত্রী আশিকুন নাহার চৌধুরী টুকটুকি, সাবেক সহ সম্পাদক কাওসার হাবীব অভি, ছাত্রলীগ কর্মী বাধন, সোহেল সিদ্দিকি, ও শুভ হকসহ বেশ কয়েকজন ওই  তথ্যবুথে গিয়ে টাকা নিতে নিষেধ করে।  একপর্যায়ে স্থানীয় ওই দোকানদারের সাথে কথাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় বহিরাগত প্রায় ২৫-৩০ জন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ফয়সাল আজম ফাহিনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ কারীদের উপর চড়াও হয় এবং মারধর করে।  তারা কাওসার হাবিব অভিকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। এসময় বহিরাগতরা
সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আশিকুর নাহার টুকটুকি, সহ-সম্পাদক কাওছার হাবীব অভি, আশিকুর রহমান বাঁধন, ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল ইসলাম পাভেল,  শুভ হককে মারধর করে।   পরে পুলিশ অভিকে উদ্ধার করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় বি ইউনিটের শেষ শিফটের পরীক্ষা চলায় আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। বর্তমানে ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
 তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফয়সাল আজম ফাইন  বলেন, ছাত্রলীগের কিছু ছেলেই ওই দোকানদারের কাছ থেকে চাঁদা চায়। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এতে আমার কোন সম্পৃকতা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি তুষার কিবরিয়া   বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছিল। এ সময় ছাত্রলীগ বাধা দিলে বহিরাগত টোকাইদের নিয়ে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ফয়সাল আজম ফাইনের নেতৃত্বে হামলা করে মারাত্মক আহত করে।
 কথা বললে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মুহিব্বুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *