ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’র আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তামিলনাড়ু। শুক্রবার প্রায় সারাদিন ধরেই তামিলনাড়ুতে তাণ্ডব চালিয়েছে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। সেখানে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে গাজার আঘাতে এখন পর্যন্ত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নাগাপট্টিনমে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক কর্মকর্তা জানান, গাছের নিচে চাপা পড়ে এবং দেয়ালধসেই বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নাগাপট্টিনম, পুডুকোট্টাই, তিরুভারুর, থানজাভুর এবং কুড্ডালোর জেলা।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে বড় আকারে উদ্ধার অভিযান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ১ লাখ এবং সামান্যতম আহতদের ২৫ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পুরো পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে তিনি এক টুইট বার্তায় জানান, কেন্দ্রীয় সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে। তিনি বলেন, তামিল নাড়ুর লোকজনের নিরাপত্তা এবং কল্যাণকর অবস্থা প্রার্থনা করছি।
নাগাপট্টিনম, তিরুভারুর, থানজাভুর, পুডুকোট্টি জেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। নাগাপট্টিনমে ৫০০০ এবং তিরুভারুরে ৪০০০ এবং তাঞ্জাভুরে ৩০০০টি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। সেখানে অনেক গাছ-পালা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি মেরামত করে এলাকায় বিদ্যুৎ ফেরাতে আরও দু’দিন সময় লাগতে পারে।
নির্বাহী সম্পাদক