বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবিতে) এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাব্বি হাসান সবুজকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত রাব্বিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা ছাত্রলীগের কেউ না বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ও মারধরের শিকার রাব্বি হাসান উভয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাব্বি হাসান সবুজ তার এক বান্ধবীর সঙ্গে বিজয় সড়কে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ওই ছাত্রীকে অশালীন মন্তব্য করে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। রাব্বি হাসান ও তার বান্ধবী এর প্রতিবাদ করলে তাদের মাঝে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এ সময় সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহিব্বুল ইসলাম সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
পরে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহিব্বুল ইসলাম তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসের পুলিশ ফাঁড়ির দিকে আসতে থাকলে ছাত্রলীগের ১৫/২০ জন নেতাকর্মী অতর্কিত হামলা চালিয়ে রাব্বিকে বেধম মারধর করে। এতে রাব্বি হাসানের নাক ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা ও অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এ বিষয়ে রাব্বি হাসান সবুজ বলেন, আমার বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, তারা আমাকে বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদ করায় আমাকে লাঞ্ছিত করে ও আমার বন্ধুকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, রাব্বি সাংবাদিক কিনা তা জানা নেই। তবে তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী -এটা জানি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কেউ নেই। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ না।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহিব্বুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।