২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ছাতক সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার রশিদ ছাড়াই অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ফরম ফি’র সঙ্গে বকেয়া বেতন, কোচিং, মডেল টেস্টের নামে বাড়তি কোনো টাকা আদায় করা যাবে না। বকেয়া বেতন আদায় করতে হলে নির্বাচনী পরীক্ষার আগে করে নিতে হবে। কিন্তু এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।
অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হচ্ছে না।
সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কেন্দ্র ফি সহ মানবিক বিভাগে এক হাজার ৪৪৫ টাকা, বিজ্ঞানে এক হাজার ৬৬৫ টাকা ও ব্যবসায় শিক্ষায় এক হাজার ৬৭০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
কিন্তু এই বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে চার হাজার দুই শত পঞ্চাশ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগে চার হাজার তিন শত পঞ্চাশ টাকা নিচ্ছে।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে কোচিং ফি নেওয়া হয়েছে।
এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মইনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, কোচিং এবং নির্বাচনী পরিক্ষার ফি বাবদ দুই হাজার ৫০০টাকা নেওয়া হচ্ছে এর বাহিরে কোনো টাকা নেওয়া হচ্ছে না।
বোর্ডের নির্ধারিত ফি এর মধ্যে কেন্দ্র ফিস অন্তর্ভুক্ত থাকলেও অতিরিক্ত তিনশত পঞ্চাশ টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি সরাসরি অফিসে গিয়ে বিস্তারিত জেনে আসার জন্য বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থীর বাবা বলেন, বোর্ডের ফি’র বাহিরে আরও অতিরিক্ত দুই হাজার পাচঁশত টাকা যেনো মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। একটি সরকারি বিদ্যালয়ের এমন কাজ রীতিমতো ডাকাতি বলে জানান তিনি।
বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের কাছ থেকে চার হাজার তিনশত পঞ্চাশ টাকায় ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। কিন্তু কাউকে প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দেওয়া হচ্ছে না। রসিদ চাইলে পরবর্তীতে দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক।
এ বিষয়ে ছাতক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন রায় বলেন, বোর্ডের নির্ধারিত এক হাজার ৬৬৫ টাকার মধ্যে কেন্দ্র ফি অন্তর্ভুক্ত করা এর বাহিরের অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান।
নির্বাহী সম্পাদক