ডেস্ক নিউজ:
মঙ্গলবার সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান। স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘যান্ত্রিকতা আর ভালো লাগছে না। বডি পার্টস (শরীর) চিটাগংয়ের (চট্টগ্রাম) সঙ্গে আর খাপ খাওয়াতে পারছি না। কিডনি থেকে হার্ট, সহনীয় থেকে ১০০% বেশি ব্যথা।’।
ফেসবুকে এমন বিষন্ন স্ট্যাটাস দেয়ার পর মাহমুদুল বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। বাড়ি যাওয়ার আগে দুপুরের দিকে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে হলে ফেরার পথে তিনি অজ্ঞান হয়ে রিকশা থেকে পড়ে যান। গুরুতর অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে বিকেল আড়াইটার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী।
মাহমুদুল হাসানের বাড়ি জয়পুরহাটে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। থাকতেন মাস্টারদা সূর্যসেন হলে। তার এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবরে হতবাক সহপাঠীরা। ক্যাম্পাসেও নেমেছে শোকের ছায়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী। তিনি জানান, আহত অবস্থায় মাহমুদুলকে চবি মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুতর অবস্থা দেখে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেয়ার পরামর্শ দেন। চমেকে পৌঁছালে দুপুর আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় চবি মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে হলে ফিরছিলেন মাহমুদুল। জিরো পয়েন্টে এলাকার টিচার্স ক্লাবের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞান হয়ে রিকশা থেকে পড়ে যান তিনি। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নির্বাহী সম্পাদক