“পরম করুণাময় আল্লাহ নামে শুরু” শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে খোলা চিঠি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ। বিষয়ঃ সমগ্র বাংলাদেশে সরকারি কলেজ সমূহে পুঞ্জিভূত সমস্যা সরকারি কলেজ সমূহের বেসরকারি কর্মচারীদের’ চাকুরী সরকারিকরণের জন্য মানবিক আবেদন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সু-যোগ্য কন্যা, বিশ্বপরিচিত আপোষহীন নেত্রী, বাংলার অহংকার, ১৬ কোটি মানুষের প্রিয় নেত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে অবিস্মরনীয় কৃতিত্বের অধিকারি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পত্রের শুরুতে জানাই সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ দুঃখ ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনার সমীপে কিছু বলতে চাই। সমগ্র বাংলাদেশে অবস্থিত কলেজসমূহে এনাম কমিটির পর আর কোন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পদ সৃষ্টি হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ০৬/০৬/২০১৭ তারিখের পরিপত্রে অনুচ্ছেদ নং-৩.৫ (নিরাপত্তা/নৈশপ্রহরী/অত্যাবশ্যকীয় খাতে কর্মচারী খাতে আদায়কৃত অর্থ দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে নিযুক্ত মজুরী প্রদান করা যাবে) এবং অনুচ্ছেদ নং-৬.১ এর ঘ (আউট সোসিং এর মাধ্যমে বিভাগীয় পাঠাগার, শিক্ষা সহায়ক কেসরকারিভাবে নিয়োগ এবং তাদের বেতন ভাতাদি পরিশোধের নির্দেশনা রয়েছে। কলেজের নতুন নতুন বিষয় খোলা হলে শিক্ষকদের পর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় কিন্তু কোন সরকারি কলেজের কর্মচারীর কোন পদ সৃষ্টি হয় না। এ পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয়ভবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে মোট ২৯ টি কলেজ মামলা করেছে কারো রায় হয়েছে এবং কারো রায়ের অপেক্ষায় আছ। আমরা সমগ্র বাংলাদেশে সরকারি কলেজে কর্মরত সর্বসাকুল্যে ২৫০০ জন এর মতো বেসরকারি কর্মচারীবৃন্দ আমরা নিরুপায় হয়ে আজ আপনার নিকট দারস্থ হয়েছি। আজ আমরা সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীগণ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি । কিন্তু দীর্ঘ ০৫-২০ বছর যাবৎ বেসকারি হিসেবে কর্মরত আছি। আমাদের অনেকের চাকুরীর বয়সও শেষ চাকুরী পরিবর্তন করে অন্য পেশায় যাওয়ার রাস্তা ও খোলা নাই। । উল্লেখ্য যে, সরকারি কলেজে সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রম ও কষ্টদায়ক কাজগুলো রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিরলস ভাবে শিক্ষাকর উন্নতিতে এখনও কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বাস করি সরকারি কলেজের সার্বিক উন্নয়নে আমরাও সম অংশীদার। কত সর্বসাকুল্যে ২৫০০ জন এর মতো বেসরকরি কর্মচারী ভাই সরকারি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মৃত্যুবরন করেছে। চাকুরী সরকারি হওয়ার আশায় এখনও মা-বাবা, ভাই-বোন ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার জ্ঞাতার্থেঃ- • উল্লেখ্য যে, রাজস্ব অডিট অধিদপ্তর, সেগুনবাগিচা, ঢাকা, ডাক বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর , বাংলাদেশ আনসার ভিডিপিসহ আরও অনেক বিভাগের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকুরী ইতোমধ্যেই সরকারি করেছেন। • আমরা দীঘদিন ধরে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীকে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছি কিন্তু আমাদের দেখার যেন কেউ নাই। • বাংলাদেশে এমন কোন সংস্থা নেই যারা আপনার কাছে ন্যায্য কিছু চেয়ে পায়নি। আমাদের সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের একটাই চাওয়া চাকুরী সরকারিকরণ। আমরা কার কাছে যাব? কার কাছে বলব? কে শুনবে আমাদের কথা? আমরা নিরুপায়! তাই বাধ্য হয়ে আপনার সমীপে আমাদের আকুল আবেদন। জানি বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেননি, দিবেনও না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাদের কেউ নেই তাদের আল্লাহ আছেন, উছিলা হিসাবে আপনি আছেন। আমরা আপনার সন্তান সমতুল্য। বঞ্চিত এই সর্বসাকুল্যে ২৫০০ জন এর মতো সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবার আপনার মুখের দিকে থাকিয়ে আছে। এই সর্বসাকুল্যে ২৫০০ জন এর মতো সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের এখন আপনিই একমাত্র ভরসা। আমরা আপনার দুয়ারে হাত পেতেছি। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, দীঘদিন যাবৎ সর্বসাকুল্যে ২৫০০ জন এর মতো সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারী সরকারি করণের জন্য বেসরকারি হয়ে শ্রম দিয়েছি। আমাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এই সোনার বাংলায় আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার গুলো চাই। যা পাওয়ার স্বপ্ন আপনি আমাদের দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের দ্বায়িত্ব আপনি নিয়েছেন তাহলে আমরা কেন সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হব? আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বাংলাদেশের সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারী ( সালেহ আহমদ জাকারিয়া, এম.সি কলেজ সিলেট) প্রচারে : শাহ্ মো: ওমর ফারুক, সভাপতি, স.ক.বে.ক. কল্যাণ পরিষদ, সিলেট বিভাগ, সিলেট। ০১৭১৮৫২৫৪৬৬।
নির্বাহী সম্পাদক