শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম : নিজের জমিতে ঘরসহ যেকোনো স্থাপনা নির্মাণে অনুমোদন লাগবে। অনুমোদন ছাড়া জমির কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। অনুমোদন না নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ বা কোনো ধরনের পরিবর্তন ঘটালে পাঁচ বছরের জেল ও পঞ্চাশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান থাকছে। এ বিধান নিয়েই করা হয়েছে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন, ২০১৭-এর খসড়া। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সভার সভাপতিত্ব করেন। ওই আইনের আওতায় ২৫ জনের একটি উপদেষ্টা কমিটি থাকবে। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী হবেন এর প্রধান। মহানগর, জেলা, পৌরসভাসহ দেশের যেকোনো এলাকার জমির অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভূমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা ও অপব্যবহার রোধ করতে এ আইন করা হচ্ছে। জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ, শিল্প-কারখানা স্থাপনসহ অন্য যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ওই উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে।’ শফিউল আলম জানান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যেভাবে অনুমোদন দিচ্ছে, সেভাবে দেবে। পরিষদ গঠনের পর ওই দুই সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। একইভাবে অন্য এলাকার ক্ষেত্রে কী করণীয় তা পরে ঠিক করা হবে। আইনটির কারণে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হবে কি না জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘ভূমির অপব্যবহার রোধ করতে ওই আইন করা হয়েছে। এটি জনবান্ধব। এতে কোনো হয়রানি হবে না।’ এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে বালাইনাশক আইন ২০১৭ ও বস্ত্র আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। শফিউল আলম বলেন, দুটি আইনই পুরোনো। তা হালনাগাদ করা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক