স্মৃতি————–
এক সময় আমাদের এলাকায় চৈএ সংত্রান্তি বা উওরা সংত্রান্তি খুব ঢালাও ভাবে পালিত হত,নতুন কাপড় চোপড় আরাদ আনন্দ। গ্রামের ছেলেরা সবাই নেড়া এনে গাঙ্গের পারে মেড়ামেরির ঘর বানাতাম সকালে স্নান করে শুরু হল,এ বাড়ী সে বাড়ী পিটা খাওয়ার পালা। গ্রামের মুরব্বি সঙ্গে কিছু যুবক মিলে নগর কীর্তন হত সারা গ্রামে, প্রত্যেক বাড়ীতে বাতাসা,কমলা,তিলুয়া,নকুলদাদা,লুটের উৎসব হত,ছোট ছোট ভাই ভাতিজার সঙ্গে বেগ থাকত,আমরা যেতাম ক্ষনিকের জন্য,আমরা তো খেলা নিয়ে ব্যস্ত।বিকালে যেতাম রাখালের আশ্রমে,তিন চার গ্রামের মানুষ মিলে তুমুল কীর্তন,তার পর কানাই আশ্রমে,আহা,সেই আনন্দ আজ নেই! সব যে স্মৃতি——–
মাস পহেলা দিন ছাতলা বিলে ফল বাওয়া এই যে আনন্দ এত মানুষ হত,মাছ মিলে আর না মিলে আনন্দের কমতি ছিল না। এখন ও পল বাওয়া হয় কিন্তু মত আনন্দ নেই,নিরানন্দটাই বেশি।এখন পরিচিত জন কে অপরিচিত লাগে!এক সাথে খেলা,গল্প করা,ওয়াপদা সড়কে স্থানিয় ভাষায় ননদাইর খেলা,ক্রিকেট খেলা,ডাং গুটি,মারগুলি,খেলায় যাওয়ার আগে এই বাড়ী সেই বাড়ীর বড়ই খাওয়া ইত্যাদি।
আহা ভাবলে চোঁখে জল আসে।এখন ও আছি কিন্তু ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দার মত,কেই কাউকে চিনি না।
বাইরের মানুষ বিভিন্ন কথা বলে উওর দেবার ভাষা থাকেনা।
লিখলে লেখা শেষ হবেনা,আমার মনের ভাষা প্রকাশ করলাম।হয়তো কার ও খারাপ লাগতে পারে।কিন্তু আমি কোন ব্যক্তিকে উদেশ্য করে লিখি নাই।তার পর ও যদি খারাপ লাগে আমার কুন্তা করার নাই।
খারাপ টা সারা জীবন জ্বালায় আর ভাল টা সৃস্থির পাতা ভাষায়।
লেখকের ফেসবুক পে্েজি থেকে নেওয়া।
নির্বাহী সম্পাদক