দেশের অব্যাহত জ্বালনি সংকটের কারনে নবায়নযোগ্য জ্বালনিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও সৌরবিদ্যুৎকে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এ ব্যাপারে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক দাতাসংস্থা আইইএক্স বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।”
সূত্রমতে, দেশে এখন সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে ২৯০ মেগাওয়াট। আগামী এক বছরে আরও ১৫০ মেগাওয়াট বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিপিডিবি। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষ চরাঞ্চল এবং দুর্গম পাহাড়ী এলাকার মানুষের জন্যই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক আইইএক্স গ্রোথ ফান্ড বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এ খাতে তারা ১০ লাখ ৬৬ হাজার ডলার বিনিয়োগ করবে। ১৯ হাজার গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে তারা ঋণ হিসেবে এই টাকা প্রদান করবে। ২০২১ সালের মধ্যে দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন কার্বন কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
আইইএক্স জানায়, আধুনিক, পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ শুধু দারিদ্র্য নিরসনের জন্যই নয়, স্থিতিশীলতার জন্যও এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে তারা। বিশ্বের দরিদ্র জীবনযাত্রার সাথে আইইএক্স গ্রোথ ফান্ড সোলারের মতো উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোতে বিনিয়োগ করে থাকে। যা জ্বালানি চাহিদা বাড়ায় এবং প্রত্যেকের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে তাদের রোলআউট তহবিল এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে সম্প্রসারণে সক্ষম হতে পেরে খুশি আইইএক্স।”
বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০ লাখ সৌর লাগানো আছে। যা বিশ্বের অন্য কোনও দেশের তুলনায় বেশি। তবে বাংলাদেশে এখনও অনেকেরই বিদ্যুৎ ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। দেশের উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সীমিত শক্তির উৎস-আমদানি করা জীবাশ্ম জ্বালানী ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতেই এসব পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন বিপিডিবি’র পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, সৌরবিদ্যুতের পাশাপাশি সরকার নবায়নযোগ্য অন্যান্য জ্বালানি থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।”