নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর থেকেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হলে সারা দেশের ৩০০ আসনে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হবে। সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি নির্বাচনের দিকে চলে আসবে। এছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি নাÑ তা নিয়ে এখনো দ্বিধায় আওয়ামী লীগ। বিএনপি অংশ নিলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটের হিসাব হবে এক রকম আর অংশ না নিলে আরেকরকম। সবদিক বিবেচনায় এবার একটু আগেভাগেই দলের প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় ক্ষমতাসীনরা। আওয়ামী লীগের এমন কার্যক্রমে অন্য দলগুলোর তৃণমূলে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার একটা ‘মানসিক তাড়া’ শুরু হবে বলেই ভাবছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া আগে থেকে গোছানো থাকলে দলের জন্য সবদিক দিয়েই ভালোÑএমনটিও ভাবছেন। দলীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে দলটির সব সাংগঠনিক জেলায় এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা আহ্বান করে চিঠি দেওয়া হবে। জেলা কমিটির নেতারা আবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিটি আসনে সর্বোচ্চ তিনজন করে প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রে পাঠাবে। তৃণমূলের এই তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা। তার আগেই দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে তিনি আমাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং দ্রুতই প্রার্থী তালিকা গোছানোর কাজ শুরু করতে চান। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও মনোয়ন বোর্ডের সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ আমাদের সময়কে বলেন, সেপ্টেম্বর থেকেই আমাদের দলের সভাপতি তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপি প্রার্থীদের তালিকা চাইবেন। কেন্দ্র থেকে জেলার কাছে আসনগুলোর প্রার্থীদের তালিকা চাওয়া হবে। জেলা আবার বর্ধিত সভা করে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহ করে কেন্দ্রে পাঠাবে। তৃণমূলের মতামত নিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের এই প্রক্রিয়াটি শুরু হবে সেপ্টেম্বর মাসে। একই বিষয়ে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের দলের সভাপতি এবার একটু আগেভাগেই দলের প্রার্থী তালিকা বাছাই শুরু করতে চান। অক্টোবরের শেষের দিকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা। কিন্তু সেপ্টেম্বরের শুরুতেই তৃণমূলের নেতাদের মতামত নেওয়া হবে নিজ নিজ এলাকার প্রার্থীদের বিষয়ে। এরপর বিভিন্ন সংস্থার জরিপের ফল ও দলের সভাপতির নিজস্ব জরিপের ফলের সঙ্গে সমন্বয় করে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ বিষয়ে আমাদের সময়কে বলেন, সেপ্টেম্বর থেকেই সারা দেশে ‘নির্বাচনী মুড’ শুরু হয়ে যাবে। বিএনপি বা সরকারবিরোধীদের আন্দোলন রাজনীতির মাঠে টিকবে না। দেশের ৩০০ আসনে শুরু হওয়া নির্বাচনী আমেজের সঙ্গে যেসব দলের নেতাকর্মী তাল মেলাতে পারবেন না তারা রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়বেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় জড়িত নেতারা জানিয়েছেন, প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, তৃণমূলের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং প্রার্থীর সামাজিক সক্ষমতা মোটা দাগে এই তিন যোগ্যতা থাকলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যাবে। প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর জরিপের ফল আসছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে। সকল জরিপের ফল ও তৃণমূলের নেতাদের মতামতের সমন্বয়ে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মাসের শেষ সপ্তায় একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই হিসেবে আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।”
সেপ্টেম্বরে প্রার্থী বাছাই শুরু আওয়ামী লীগের
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সেপ্টেম্বরে শুরু করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ৩০০ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিষয়ে তৃণমূল নেতাদের মতামত সংগ্রহ করবে কেন্দ্র। মূলত নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি ও সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ফেরাতে তফসিল ঘোষণার আগেই প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্য আমাদের সময়ের সঙ্গে আলাপকালে জানান, আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে চাইবে দলের কাছে এমন ধরনের তথ্য রয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে নয়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে-