ডেস্ক নিউজ:
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাখাইনে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য গত এক বছরে কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমারের সেনবাহিনীর নির্যাতনের মুখে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী সন্ত্রাস দমনের অজুহাতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে। পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ‘এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের কূটনীতিক তৎপরতা চালাচ্ছি।’ মিয়ানমারের সঙ্গে দর কষাকষির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি কোনও গোপন বিষয় নয় যে মিয়ানমারের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি আছে। আমরা সবসময় বলেছি এটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা। এটিকে নিরাপত্তা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে হবে না। আমাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার নির্দেশনা আছে যে, বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের যত সম্ভব সাহায্য করার। সেই অনুযায়ী আমরা আমাদের সীমান্ত এখনও উন্মুক্ত রেখেছি।’ তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে পাঁচ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন এবং এটিই আমাদের মৌলিক অবস্থান। আমরা টেকসই ও অধিকার ভিত্তিক প্রত্যবাসন চাই। প্রত্যাবাসন হবে স্বতঃপ্রণোদিত এবং আমরা চাই মিয়ানমার সেখানে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে। যার ফলে রোহিঙ্গারা সম্মানজনক ও নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারে।’ প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেদিন মিয়ানমার তাদের ফেরত নেওয়ার জন্য তৈরি হবে।’ পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বারবার বলছি— রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে বাংলাদেশ যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তার জন্য যেন আমাদের শাস্তি না দেওয়া হয়।’
বার্তা বিভাগ প্রধান