Home » ডুবেছে নৌকা জিতেছেন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর

ডুবেছে নৌকা জিতেছেন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর

শুদ্ধবার্তাটুয়েন্টিফোর: 

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৩০ জুলাই। ঐদিন ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকায় সেদিনই মেয়র পদের চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হয়নি। গত ১১ আগস্ট এই দুই কেন্দ্রে পুন:ভোট গ্রহণ শেষে সরকারীভাবে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান।
বেসরকারীভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৮৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৩৯৩ ভোট। ওয়ার্ডভিত্তিক ফলাফলে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে মধ্য মাত্র ৮টি ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছে নৌকা। বাকি ১৯ ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছে ধানের শীষ। কিন্তু, এবারের সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বেশীরভাগই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বেসরকারীভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে এবার ১৫টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
আওয়ামী কাউন্সিলর জিতেছেন এসব ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে- ২, ৩, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৭, ২০, ২২, ২৩, ২৫, ২৬ ও ২৭। এই ওয়ার্ডগুলোতে নির্বাচিত কাউন্সিলরা হচ্ছেন যথাক্রমে বিক্রম কর সম্রাট, আবুল কালাম আজাদ লায়েক, আফতাব হোসেন খান, ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াস, রকিবুল ইসলাম ঝলক, শান্তনু দত্ত সনতু, রাশেদ আহমদ, আজাদুর রহমান আজাদ, ছালেহ আহমদ সেলিম, মোস্তাক আহমদ, তাকবির ইসলাম পিন্টু, তৌফিক বকস লিপস এবং আজম খান।
কিন্তু এদের মধ্যে মেয়র পদে নৌকা বিজয়ী হয়েছে মাত্র চারটি ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ২, ৮, ১৩ ও ২০।
আর, নৌকা মোট বিজয়ী ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টিতে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির প্রার্থীরা। এগুলো হচ্ছে ১৪, ১৮ এবং ২১নং ওয়ার্র্ড। এই চার ওয়ার্ডে বিএনপির নির্বাচিত কাউন্সিলররা হচ্ছেন  নজরুল ইসলাম মুনিম, জিল্লুর রহমান উজ্জল ও আব্দুর রকিব তুহিন।
এছাড়া ফলাফলে দেখা গেছে এমনও কয়েকটি ওয়ার্ড রয়েছে যেগুলোতে আওয়ামী লীগের বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের অর্ধেক ভোটও পায়নি নৌকা।
কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও মেয়র প্রার্থীর পরাজয়কে দলের ভুল হিসেবেই দেখছেন নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন- যদি মেয়র প্রার্থী এবং দলের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সমন্বয় থাকত তবে এই সমস্যা হত না। আর এবার সিলেট সিটিতে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। যার ফলে কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজের জয় নিশ্চিতেই ব্যস্ত ছিলেন।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেন- আওয়ামী লীগ থেকে যদি প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়া হত তবে এই অবস্থা হত না। কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজের পাশাপাশি দলের মেয়র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করতেন। কিন্তু দল থেকে সরাসরি কোন সমর্থন না দেওয়ায় তারা নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তাই কাউন্সিলর বিজয়ী হলেও ডুবেছে নৌকা।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *