রাজধানীতে বিশুদ্ধ ও মানসম্মত পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পুরনো পাইপ লাইন বদলে নতুন পাইপ বসাচ্ছে ঢাকা ওয়াসা। তবে আগের তুলনায় কম ব্যাসের পাইপ বসানোর ফলে নিরবিচ্ছিন্ন পানি প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কায় অনেক এলাকার বাসিন্দা। এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজন মাফিক ব্যাসের পাইপ বসানোর দাবি তাদের। যদিও ওয়াসা বলছে, ২০৫০ সালের ভোক্তা চাহিদা মাথায় রেখেই বসানো হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পাইপ লাইন।”
উন্নত বিশ্বের মতো পানযোগ্য ট্যাপ ওয়াটার নিশ্চিতের লক্ষ্যে ছয়টি প্যাকেজের অধীনে রাজধানীর প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার পানির পাইপ লাইন পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণের কাজ করছে ঢাকা ওয়াসা। এরই ধারাবাহিকতায় মডস জোন-৬ এর ৩৭৬ কিলোমিটার পাইপ বদলের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের জুলাই মাসে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ১৬টি ডিস্ট্রিক্ট মিটারিং এরিয়ায় পাইপ লাইন প্রতিস্থাপন শুরু হলেও প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ নতুন এই কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবিষ্যতের কথা মাথায় না রেখেই পুরনো ছয় ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ বদলে বসানো হচ্ছে চার ইঞ্চি পাইপ। এমন আপত্তির মুখে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে মগবাজারের নয়াটোলা এলাকার কাজ।”
স্থানীয়রা বলেন, ইদানীং দুপুরের দিকে পানির চাপ থাকে না। ৬ ইঞ্চি লাইনে পানি আসে না। তাহলে ৪ ইঞ্চিতে কিভাবে পানি আসবে! এখন তো ভবন ৮ তলা ১০ তলার।”’
ওয়াসার দাবি, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে জরিপ শেষে বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শেই বসানো হচ্ছে নতুন পাইপ। বিবেচনায় নেয়া হয়েছে প্রতিটি এলাকার জনসংখ্যা ও পানির চাহিদা। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ‘চাহিদা দেখে ডিজাইন করা হয়েছে। প্রেশার থাকে চার ইঞ্চি কেন ১ ইঞ্চিতেও পাওয়া সম্ভব। আর প্রেশার না থাকলে ১০ ইঞ্চি দিলেও পাওয়া সম্ভব নয়।’
এদিকে, ধানমন্ডি, কাঁঠালবাগান, খিলগাঁও ও বনশ্রী এলাকায় ইতিমধ্যে নতুন পাইপ লাইনে পানি সরবরাহ শুরু হলেও আশ্বাস অনুযায়ী পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের। এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ‘পানির উৎপাদন ক্ষমতা ঠিক আছে। তবে বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে কিছু পকেট সমস্যা দেখা দেয়।
২০২১ সালের মধ্যে সমগ্র রাজধানী ওয়াসার নতুন পাইপ লাইনের আওতায় আসবে জানিয়ে ঢাকা ওয়াসা বলছে, এর মাধ্যমে একদিকে যেমন বিশুদ্ধ পানি পাবে নগরবাসী, অন্যদিকে কমে আসবে ওয়াসার সিস্টেম লস।