কক্সবাজার শহরের লিংক রোডস্থ মুহুরীপাড়ায় ভয়াবহ পাহাড় ধস হয়েছে। এছাড়া আরো পাঁচ একর পাহাড়ি ভূমিতে ভয়াবহ ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এতে পাঁচটি বসতবাড়ি ও দুই দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির কবলে পড়েছে আরো ১৫টি পরিবার। ২৮ জুলাই মধ্যরাতে এ ভয়াবহ পাহাড় ধস ও ফাটল সৃষ্টি হয়। ভয়াবহ পাহাড় ধসের পর সকাল থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কক্সবাজার শহরের লিংক রোডস্থ মুহুরীপাড়ার বিসিক শিল্প এলাকার দক্ষিণ পার্শ্বে প্রায় দেড়শ’ ফুট উঁচু একটি পাহাড় আকস্মিক ধসে পড়ে। কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান, পাহাড় ধসের কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।”
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হাসান জানান, পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বাহিনী কাজ করছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। কক্সবাজারের দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আলী কবির জানান, টানা বৃষ্টি ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে ধসে পড়ে। পাহাড়টির কিছু অংশ কেটে ফেলে স্থানীয়রা। এতে বৃষ্টির পানি সহজে পাহাড়ের মাটির ভিতর ঢুকে পড়ায় পাহাড়টি ধসে পড়ে। পাহাড়ের কিছু কিছু অংশে ফাটল ধরেছে। এতে পাহাড় ধস অব্যাহত রয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই ভোরে কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ার বাচামিঞার ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৪ সদস্যের মৃত্যু হয়। রাতভর ভারি বৃষ্টির পর ভোরে বসতবাড়ির ওপর পাহাড় ধসে পড়ে। কক্সবাজার শহরের পাহাড়ের পাদদেশে এখনও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে হাজার হাজার পরিবার।”