সিলেটে অধ্যাপক জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফয়জুল হাসানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর হাকিম হরিদাস কুমারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমাদেন জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।
তদন্ত বলা হয়েছে, জাফর ইকবালকে ‘নাস্তিক মনে হওয়ায়’ ফয়জুল একাই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং একাই হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করেন। বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।’
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ বিবেলে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়। এসময় হাতেনাতে মাদ্রাসাছাত্র ফয়জুল হাসান আটক হন।’
ফয়জুল ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি পাঁচ আসামি হলেন- ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ৩৫৩ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, আটকের পর ফয়জুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সে অনুযায়ী, ফয়জুল ২০১৬ সালে তার বন্ধু সোহাগের মাধ্যমে পাওয়া মেমোরি কার্ডে জসিম উদ্দিন রহমানি, তামিম ইল আদরানি ও অলিপুরি হুজুরের ওয়াজ শুনে জিহাদের ব্যাপারে প্রভাবিত হন। এছাড়া জসিম উদ্দিন রহমানির লেখা ‘উন্মুক্ত তরবারি’ বই ও তিতুমির মিডিয়ার ভিডিও দেখে ফয়জুলের ধারণা হয় জাফর ইকবাল একজন নাস্তিক। এ থেকে ফয়জুল একাই জাফর ইকবালকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং একাই হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করেন।’
ওসি আরো জানান, ঘটনার বিভিন্ন স্থিরচিত্র, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে সিসি ক্যামেরায় ধরা ফুটেজ ও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছয়জন জড়িত বলে তাদের কাছে জানা গেছে,
এ হামলার সঙ্গে পুলিশ কোনো জঙ্গি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা পায়নি বলে তিনি জানান।’