ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ভূমি সংশ্লিষ্ট সেবাসমূহ ডিজিটাইজড এবং জনবান্ধব করে গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।”
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ের কেবিনেট কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০১৮ এ ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের গৃহীত রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে জনগণকে ভূমি সংক্রান্ত এ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
ভূমি মন্ত্রী বলেন, বিশাল বিশাল প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের কাজটি সরকার করে দেয়। যেটি না হলে প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। হাজার হাজার মানুষকে খাসজমি বন্দোবস্ত দিয়ে দারিদ্য্র বিমোচনে কাজ করছে। গুচ্ছ গ্রামের মাধ্যমে গৃহহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, অকৃষি খাস জমি, কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুসরণপূর্বক বন্দোবস্ত প্রদান, পি.ও.৯৬/৭২ এবং ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর এই সংক্রান্ত বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে দেশের অনেক জায়গায়ই উর্ধ্ব সীমার অতিরিক্ত অনেক জমির মালিক রয়েছেন। এদেরকে চিহ্নিত করে সিলিং বহির্ভূত জমি সরকারের খাস খতিয়ানে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।”
মন্ত্রী ‘ক’ তফসিলভুক্ত সরকারের মূল্যবান সম্পত্তি যাতে হাতছাড়া না হয় সেজন্য অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ ট্রাইব্যুনালে সরকারের বিপক্ষে রায় হবার পর নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যেই আপিল দায়ের নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকগণকে যথাযথ গুরুত্বসহ ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।”
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী বাতিলকৃত ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির প্রকৃত দাবীদারগণ যেন কোন মতেই হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে লক্ষ রাখার জন্য জেলা প্রশাসকগণকে নির্দেশ দেন। মন্ত্রী সবাইকে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।”
কেবিনেট সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল জলিল, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মতিন-উল হকসহ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ উপস্থিত ছিলেন।”
Nice