মেক্সিকো সিটি থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি পিরামিডের ভেতর প্রাচীন এই মন্দিরটির সন্ধান মিলেছে। পুরনো এই পিরামিডের নাম টিওপানজোলকো। ১১৫০ সালের দিকে এটি নির্মিত হয়ে থাকতে পারে এবং এটি হয়তো টিলাহুইকা সংস্কৃতির নির্দেশক বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় অঞ্চলে একসময় প্রাচীন এজটেকদের বাস ছিল।’
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলছেন, মন্দিরটি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৬ মিটার বাই ৪ মিটার। অর্থাৎ ২০ ফিট বা ই ১৩ ফিটের মতন বড় এই প্রাচীন মন্দির।
মন্দিরের অভ্যন্তরে ধূপ-ধোনা দেবার জন্য একটি জায়গা পাওয়া গেছে। তাছাড়া, মৃৎপাত্রের টুকরো বা ধ্বংসাবশেষ-ও পাওয়া গেছে।’
ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতি পরিমাপ করবার জন্য মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এনথ্রোপোলজি এন্ড হিস্ট্রি (আইএনএএইচ) এর পক্ষ থেকে রাডার ব্যবহার করে ভবনগুলোতে কী পরিমাণ স্ট্রাকচারাল ক্ষতি হয়েছে সেটি জানার চেষ্টা করছিল। আর এটি জানতে গিয়েই পাওয়া যায় প্রাচীন এই বৃষ্টি দেবতার মন্দির।’
প্রত্নতাত্ত্বিক বারবারা কোনিয়েকযা বলছিলেন, ৭ দশমিক ১ মাত্রার যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল মেক্সিকোতে এর ফলে টিওপানজোলকোর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।’
টিওপানজোলকো পিরামিডের মূল অবকাঠামো ১৩শ শতকের দিকে নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।-বিবিসি।’