Home » নয় বছরে প্রায় ৬ লাখ প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থাননয় বছরে প্রায় ৬ লাখ প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান

নয় বছরে প্রায় ৬ লাখ প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থাননয় বছরে প্রায় ৬ লাখ প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান

বর্তমান সরকারের ৯ বছরে গত ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকদের মধ্যে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯১ জনের আত্মকর্মসংস্থান হয়েছে। একই সময়ে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫ জনের মধ্যে ৮১৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬ হাজার টাকার ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। জুন ২০১৭ পর্যন্ত এই ঋণ আদায়ের হার ৯৫ শতাংশ।’
সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আ ন আহম্মদ আলী বাসস’র সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, বিগত জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত মোট ২২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬ জন বেকার যুবক- যুবমহিলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর পরিচালিত বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯১ জনের আত্মকর্মসংস্থান হয়েছে।’
বর্তমান সরকার ঘরে ঘরে চাকরি বা আত্মকর্মসংস্থানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে আ ন আহম্মদ আলী বলেন, গত ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৯৬ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই বছরের অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৬১ জনের।’
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তালিকাভুক্ত যুব সংগঠনের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৫২টি এবং অনুদানপ্রাপ্ত যুব সংগঠনের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৫৫টি।’
আ ন আহম্মদ আলী বলেন, ‘গত ৯ বছরে ১১ হাজার ৩৬৬টি যুব সংগঠনকে তালিকাভুক্ত করা হয়। এ সময় ৫ হাজার ৮৬০টি সংগঠনকে মোট ৯ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।’ তিনি জানান, কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ পর্যন্ত ৩৯১ জনকে যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ৯ বছরে ১৪৬ জন যুব পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি বলেন, রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।’
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের আমলে ১৪টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১১টি আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ৬৪টি জেলা ও ৪৭৬টি উপজেলা কার্যালয়কে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বেকার যুবসমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে নামমাত্র ফি নিয়ে জেলাপর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান হয়। প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ আবাসিক ও অনাবাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি উপজেলাপর্যায়েও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তবে, হিজড়া, দলিত জনগোষ্ঠী, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী যুবদের কোনো কোর্স ফি দিতে হয় না।’

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *