শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর: নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন সিসিকের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ। বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় ২০নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে সিলেটের ইতিহাসে অনন্যা কীর্তি গড়তে যাচ্ছেন তিনি। এর আগে ২০১৩ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিকজয় করেন আজাদ। ২০নং ওয়ার্ডে অপর প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা মিঠু তালুকদার আজাদুর রহমান আজাদকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। উক্ত ওয়ার্ডে আর কোন প্রার্থী না থাকায় একক প্রার্থী হওয়ায় আজাদুর রহমান আজাদ বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন। আজ (সোমবার) মিঠু তালুকদার আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন। আর এরই সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদুর রহমান আজাদকে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় কাউন্সিলর হিসেবে ঘোষণা দিতে শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকবে। উল্লেখ্য রাজপথ কাপানো সিলেটের দুই প্রভাবশালী নেতা আজাদুর রহমান আজাদ ও এডভোকেট রনজিত সরকার দুই বন্ধু হলেও বিগত কয় বছর ধরে তাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়, দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে টিলাগড়ের রাজনীতি। এরই মাধ্যে নির্বাচন কমিশন ৩০ জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেন আজাদ। পরবর্তীতে দলের হাই কমান্ড মেয়র পদে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে মনোনয়ন দেন। ফলে আবারো ২০নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে দাড়ান আজাদুর রহমান আজাদ।একই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ছাত্রলীগ নেতা, এডভোকেট রনজিত সরকারের ভাগ্নে মিঠু তালুকদার। ফলে আজাদ-রনজিত দুই বন্ধুর দুরত্ব আরও স্পস্ট হয়ে উঠে। একপর্যায়ে রাজনীতির মাঠের দুই সহযোদ্ধা দুই বন্ধুর (আজাদ-রনজিত) দূরত্ব কমিয়ে আনতে পাশে এসে দাঁড়ান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি আজাদ-রনজিতকে নিয়ে বসেন, দীর্ঘদিনের দূরত্ব ভুলে আবারো দুই বন্ধুকে এক করে দেন। যার ফলে রনজিত সরকারের ভাগ্নে কাউন্সিলর প্রার্থী মিঠু তালুকদার আজাদুর রহমান আজাদকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।