সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামী পলাতক হুমায়ুন আহমদকে ঢাকা থেকে আটক করেছে র্যাব।
শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার বংশাল থানাধীন ৭৮/৩ সি নাজিমউদ্দিন রোডস্থ চানখারপুল চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে অংশ নেয় র্যাব-৯ ও র্যাব-১০ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল।
আটক হুমায়ুন জাফলং বাজারের অদূরে চৈলাখেল অষ্টমখন্ড গ্রামের ডাঃ আব্দুল কাদেরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
তিনি মাই টিভির গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি পরিচয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি ও ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিলেন। হুমায়ুনের বড় ছেলে নিষিদ্ধ সংগঠন উপজেলা ছাত্রলীগের যগ্ন সম্পাদক।
জানা যায়, গত সোমবার (১৭মার্চ) রাত এগারোটার দিকে হুমায়ুন তার ছেলে ও ১৪-১৫ সন্ত্রাসী মিলে রাত ১১ টার দিকে বাংলা টিভির সাংবাদিক দুলাল হোসেন রাজু, চ্যানেল নাগরিক টিভির সাংবাদিক সালমান শাহ, আনন্দ টিভির সাংবাদিক ইব্রাহিম আলীসহ পাঁচ জনকে জাফলং ব্রিজের মুখে মটর সাইকেল গতিরোধ করে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মারাত্বক আহত করে।
এসময় সাংবাদিক সালমানের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও দুলালের মোবইল ফোন হুমায়ুন আহমেদ ও তার ছেলে নিয়ে যায়।
স্হানীয় জনতা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে সাংবাদিক দুলাল হোসেন রাজুর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে হুমায়ুন ও তার ছেলেরা পালিয়ে যায়। শনিবার তাকে ঢাকা থেকে আটক করে র্যাব।
হুমায়ুনের আটকের বিষয়ে জানতে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমদের মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।
এর আগে হুমায়ুন বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কার করা হয়।