আশ্বাস দিয়েও পোষ্য কোটাসহ সকল ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল না করার প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ মিছিল করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোটা বাতিল না হলে রেজিস্ট্রার ভবন তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় ‘সারা বাংলায় খবর দে’, ‘কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়’, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, পোষ্য কোটা বাতিল কর, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
এ সময় সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার বলেন, ‘বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা যেই আন্দোলন শুরু করেছিলাম সেই বৈষম্য এখনো শেষ হয়নি। জুলাই আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই ছিল মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করা। কিন্তু সেই মেধার অবজ্ঞা করে এখনো কোটাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা জুলাই বিপ্লবের সাথে সম্পুর্ণ সাংঘর্ষিক।’
তিনি আরো বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য শুধু কোটা রাখা যেতে পারে কিন্তু পোষ্য কোটায় যারা ভর্তি হয় তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত পরিবার থেকে আসে। এটা চরম বৈষম্য। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোটা বাতিল না করা হয় তাহলে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা মেরে দিব।’
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, ‘যেই কোটার জন্য হাজারো শিক্ষার্থীকে জীবন দিতে হয়েছে আজকে সেই কোটা এখনো বহাল রাখা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা যদি কৌশলে পোষ্য কোটা বহাল রাখতে চান তাহলে এটা হবে শহিদর রক্তের সাথে বেইমানি। শহিদের রক্তের সাথে বেইমানি না করে সমঝোতায় এসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকল অযৌক্তিক কোটা বাতিল করুন।’
এর আগেও অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ও এবছরের শুরুতে (৪ জানুয়ারি) মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আশ্বাস দিলেও কোটা বাতিল করেননি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।