সিলেটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে চাঁদাদাবীর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে বারোটার দিকে সিলেটে মার্কেটিং এজেন্সি ব্রান্ডইরো প্রতিষ্টানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক (সিইও) মোঃ মঞ্জুরুল হক ফাহিম তার ফেসবুক পেইজে ঘটনাটি তুলে ধরে লিখেন:- “আমার সিলেট অফিসে এসে সরাসরি চাঁদা চেয়েছে।
ভিডিওতে আপনারা শুনতে পারবেন। সমন্বয়ক পরিচয়ে আমার সাথেও কথা বলেছে। তার দাবি আলোচনা সাপেক্ষে টাকা দেওয়া যেতে পারে।
বিগত ৩ বছরে এই ধরনের কিছুর সম্মুখীন হইনি। প্রথম এমন কিছুর ফেইস করতে হলো। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আশা করি এই বিষয়ে আলোকপাত করবেন”।
এসময় তিনি চাঁদাদাবীর সময় সিসি ক্যামেরায় রেকর্ডকত ৫ টি ভিডিও ফুটেজ ও চাঁদাদাবীর ৩টি ম্যাসেজের স্ক্রীন সট ও চাঁদাবাজের ছবি আপলোড করেন। সেসব ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুজন অফিসের চেয়ারে বসে চাঁদাদাবী করছেন।
মঞ্জুরুল হক ফাহিমের ফেসবুক থেকে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা শাখার সংগঠক, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক – বাংলাদেশ স্টুডেন্ট কাউন্সিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সভাপতি, বাংলাদেশ স্টুডেন্ট কাউন্সিল, সিলেট মহানগর ইউনিটের এহতেশাম ও সাহেল সরাসরি অফিসে গিয়ে চাঁদাদাবী করেন।
এর আগে এহতেশাম মঞ্জুরুল হক ফাহিমের কাছে ক্ষুদে বার্তা পাঠায়, সেখানে তিনি তার পরিচয় দিয়ে বলেন,
“আপনারাও সিলেট এ আসছেন ব্যবসা করতে আমরাও আছি, সম্পর্ক বাড়ানো দরকার। আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়াবেন, আমরাও আপনাদের বিপদে এগিয়ে আসবো এভাবেইতো সম্পর্ক বৃদ্ধি হবে। তাই এটা আমরা একটা দাবী রাখলাম ২০ হাজার স্পন্সর করেন আমাদের”।
এ ঘটনাটি রাতের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। উঠে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।এক পর্যায়ে বিষয়টি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষনিক তাদের ফেসবুক পেইজে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবাদ প্রকাশ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলার মূখ্য সংগঠক নাঈম শেহজাদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আমাদের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা নাম বিক্রি করে এহতেশাম ও সাহেল নামের দুই ব্যক্তি চাঁদাবাজী করেছে, যা আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি।
আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে আমাদের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই এবং তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য নন। এই ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার নাম ব্যবহার করে প্রতারণা ও চাঁদাবাজী করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।