ডেস্ক নিউজ:
দ্য ইনক্রেডিবল ভক্তদের দীর্ঘ অপেক্ষায় রেখেছিলেন পরিচালক বব বার্ড। ছবিটির সিক্যুয়াল নির্মাণের কথা বলে পার করে দিয়েছেন দীর্ঘ ১৩ বছর! অবশেষে হলো অপেক্ষার অবসান । গত ১৫ জুন পর্দায় এসেছে ‘ইনক্রেডিবলস ২’। মুক্তি পেয়েই দর্শকদের বিপুল সাড়া পেয়েছে ছবিটি। ২০ কোটি ডলার বাজেটের সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই আয় করেছে ৩৪ কোটি ডলারের বেশি। আর ২২ জুন ভারতে মুক্তি পাওয়ার পর মাত্র দুই দিনেই আয় করেছে ৪ কোটি রুপি। পিক্সার স্টুডিওর এখন পর্যন্ত প্রথম সপ্তাহের আয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ছবিটি। এরই মাঝে আয়ের দিক দিয়ে সর্বকালের সেরা ১০ বিগেস্ট ওপেনিং ডোমেস্টিক ছবির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ‘ইনক্রেডিবলস ২’। এবার বাংলাদেশের দর্শকদের মাতাতে আসছে ছবিটি। ৬ জুলাই থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে এ ছবি দেখতে পাবেন দেশের দর্শকরা। গত নভেম্বরে ছবিটির টিজার প্রকাশিত হয়। কিংবদন্তি অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র পরিচালক ব্র্যাড বার্ডের পরিচালনায় ছবিটির টিজার মুক্তির পরই ইউটিউবে ঝড় তুলেছে। টিজারটি দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন দর্শকরা। মুক্তির পরপরই এটি চলে এসেছে সর্বকালের সব থেকে বেশি দেখা অ্যানিমেটেড টিজারের তালিকায়। আর সামগ্রিকভাবে আছে সপ্তম স্থানে। সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনুসারে, টিজারটি এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১১৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ১১ কোটি ৩০ লক্ষবার এবং যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। টিজারে দেখা যায়, শিশু জ্যাক-জ্যাক তার নতুন পাওয়া সুপার পাওয়ার নিয়ে খুবই উল্লাসিত। বিক্ষিপ্তভাবে সে তার ক্ষমতা চারদিকে ব্যবহার করছে। তার বাবা তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খাচ্ছেন এবং ছেলের কাণ্ড-কারখানায় তিনি বেশ বিব্রত ও বিস্মিত। এবার হেলেন বা এলাস্টিগার্ল ওয়ার্কিং মমের চরিত্রে রয়েছেন এবং তিনি পৃথিবী রক্ষার দায়িত্বে নিয়েছেন। অন্যদিকে বব পার বা মিস্টার ইনক্রেডিবল রয়েছেন ‘হোম ড্যাড’ এর চরিত্রে ও মুভিতে তাকে দেখতে পাবেন বাসার বিভিন্ন কাজে ভেলকি দেখাতে। এছাড়াও তাদের তিন সন্তান ভায়োলেট, ড্যাশ ও জ্যাক-জ্যাকের দেখাশোনা করতে তাকে পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, ‘ইনক্রেডিবলস’ হলো এক সুপারহিরো পরিবারের গল্প। যেখানে আছে মা-বাবা আর তিন ছেলেমেয়ে। সবারই আছে অদ্ভুত ও অবিশ্বাস্য সব ক্ষমতা। এগুলো কাজে লাগিয়ে দুষ্টু লোকদের শায়েস্তা করতে গিয়ে মজার সব কাণ্ড ঘটায় ওরা। ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য ইনক্রেডেবল’ শুধু ভক্তদের মনই জয় করেনি, সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়ে ঘরে তুলে নিয়েছিল অস্কার পুরস্কার। তাই দ্বিতীয় ছবি নিয়ে সবার কৌতূহলটা একটু বেশি। দর্শকদের আকাঙ্ক্ষা কতটা পূরণ করতে পারে ছবিটি, সেটাই এখন দেখার বিষয়।