লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালাতে গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কালীগঞ্জের দলগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীখাতা গ্রামে অবস্থিত মেসার্স এমজেএ ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে কোনও ব্যবস্থা না নিয়েই ফিরে আসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মেসার্স এমজেএ ব্রিকস-২ এর মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে গত ২৬ জানুয়ারি এবং ৬ ফেব্রুয়ারি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আদালত পরিচালনাকালে ইটভাটার বৈধ কোনও কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। আদালত পরিচালনাকালে ভাটা কর্তৃপক্ষ অশালীন আচরণ করেন। বিপুলসংখ্যক লোকসমাগম করে ইটভাটার প্রবেশপথ এক্সকাভেটর এবং ব্যক্তিগত ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করে দেন। এ অবস্থায় কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে ফিরে আসেন আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার এস এম শাফায়াত আখতার নুর, রাকিবুল ইসলাম এবং লালমনিরহাট পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক মো. গোলাম আসিফ রহমান ওই অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন। দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইটভাটার কাগজপত্র চাওয়ার পর ম্যানেজার দেখাতে পারেননি এবং আদালতকে সহযোগিতা করে অশালীন আচরণ করেন। পরে ভাটার আগুন নিভিতে পানি দিতে চাওয়ার পর মালিকপক্ষ গেট বন্ধ করে দেন। মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের সবাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালীগঞ্জ ইউএনও কার্যালয়ে ফিরে আসেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। এখন যা ব্যবস্থা নেওয়ার, জেলা প্রশাসক নেবেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা ও ইটভাটার মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।