উৎসব মুখর আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঢাকা ম্যারাথনের পঞ্চম আসর। যেখানে এলিট ফুল ম্যারাথনে চ্যাম্পিয়নকে দেয়া হয়েছে ৪ লাখ টাকা। আর হাফ ম্যারাথন চ্যাম্পিয়ন পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। তবে এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরেই বেশি উচ্ছ্বাসিত বিজয়ীরা। এদিকে, ভবিষ্যতে দেশব্যাপী ম্যারাথন ছড়িয়ে দেয়ার কথা জানান সেনা প্রধান।
ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ভোর ৫ টা। সূর্যের আলো ফোটার আগেই বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের সামনে হাজির দেশি-বিদেশি ১০ হাজারের বেশি নারী-পুরুষ। তাঁদের পদচারণায় মুখরিত পুরো এলাকা। ঢাক ঢোলের তালে প্রস্তুতিও সেরে ফেলেন অংশগ্রহণকারীরা। আর তখন তাঁদের নির্দেশনা দিতে প্রস্তুত আয়োজকরা।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকা ম্যারাথনের পঞ্চম আসর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার থেকে শুরু হয়। পরে ৩শ’ ফিট হয়ে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত দৌড়ে যান অ্যাথলেটরা। একই রাস্তায় ফিরে এসে শেষ করেন তারা।
এলিট ম্যারাথনে অংশ নেয়া অ্যাথলেটরা দৌড়ান ৪২ কিলোমিটার। আর হাফ ম্যারাথনে সে রাস্তা ছিল ২১ কিলোমিটার। এর বাইরে ১০ কিলোমিটারের ৩টিসহ ৫ ক্যাটাগরি ছিল ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে।
এবার ফুল ম্যারাথন বিজয়ীকে দেয়া হয়েছে ৪ লাখ টাকা। আর হাফ ম্যারাথনে চ্যাম্পিয়ন পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদেরও দেয়া হয়েছে আর্থিক পুরস্কার। তবে, অর্থের চেয়েও এতো বড় আয়োজনে পুরস্কার পেয়ে রোমাঞ্চিত বিজয়ীরা।
ঢাকা ম্যারাথনে অংশ নেয়া অনেকই অপেশাদার। কেবল নিজের ভালো লাগা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার জায়গা থেকেই অংশ নেয়ার কথা জানালেন অনেকে।
আয়োজন শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সেনাপ্রধান। প্রশংসিত করেন অংশ নেয়া সকলকে। আগামীতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
২০২১ সাল থেকে যাত্রা শুরু ঢাকা ম্যারাথনের। তবে, এবারই সবচেয়ে বড় পরিসরে আয়োজন। অংশ নিয়েছেন প্রায় সব বয়সীরা।
সুস্থ দেহের জন্য অন্যতম কার্যকরী ব্যায়াম দৌড়। তবে ইট পাথরের এই নগরীতে সেই সুযোগ খুব কমই পান সুস্থ সচেতনরা। ফলে অনেকেই দৌড়ানোর জন্য বেছে নেন এই ধরণের ইভেন্ট। আর এই ধরণের আয়োজন বেশি বেশি হলে আগামীতে সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে উঠবে বলে বিশ্বাস অংশ নেয়া দৌড়বিদের।