ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলবের পরের দিন শুক্রবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নুরাল ইসলামকে তলব করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক চায়; যা সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে।
এর আগে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শেখ হাসিনা ক্রমাগত ‘মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, শেখ হাসিনার এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রতি একটি শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক নয়।
এর জবাবে ‘বাংলাদেশের নিয়মিত বিবৃতি ভারতকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করছে’, অভিযোগ করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে দেশটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শাসনসংক্রান্ত বিষয়গুলোর জন্য তারা আমাদের দায়ী করছে। বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশের এসব বিবৃতি বিরাজমান নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।’
সেখানে আরও বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা মন্তব্যগুলো তার ব্যক্তিগত, যাতে ভারত সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। তার বক্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থানকে এক করে ফেললে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ইতিবাচক মাত্রা যোগ করতে সহায়ক হবে না।
‘ভারত সরকার যখন পারস্পরিক স্বার্থের সহায়ক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে, তখন আমাদের প্রত্যাশা থাকবে যে বাংলাদেশও পরিবেশের অবনতি না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থেকে সম্পর্কের স্বার্থে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’