Home » মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প, তবে চীনের ওপর নয়

মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প, তবে চীনের ওপর নয়

মেক্সিকো ও কানাডার ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ৩০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর পরিবর্তে, দুই প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে সীমান্ত ও অপরাধ দমন সংক্রান্ত কিছু ছাড় আদায় করেছেন তিনি। তবে চীনের ওপর শুল্ক এখনও কার্যকর রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম ট্রাম্পের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার রোধে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। এর ফলে, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হতে যাওয়া ২৫ শতাংশ শুল্ক সাময়িকভাবে ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে নতুন প্রযুক্তি ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করবে এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ, ফেন্টানিল পাচার ও অর্থপাচার রোধে যৌথ পদক্ষেপ নেবে।

অন্যদিকে, মেক্সিকো তাদের উত্তরের সীমান্তে ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করতে সম্মত হয়েছে, যা অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোতে শক্তিশালী অস্ত্র পাচার বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন শেইনবাউম।

ট্রাম্প এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার দায়িত্ব আমেরিকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং আমি সেটাই করছি। এই প্রাথমিক ফলাফলে আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট।

এই সমঝোতার ফলে আপাতত একটি বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানো গেল, যা অর্থনীতিবিদদের মতে, সংশ্লিষ্ট সব দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারত এবং ভোক্তাদের জন্য উচ্চমূল্য সৃষ্টি করত।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আগামী এক মাসের মধ্যে কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে অর্থনৈতিক চুক্তির চেষ্টা করবেন। ১৯৯০-এর দশকে স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর থেকে তিন দেশের অর্থনীতি ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত হয়েছে।

তবে চীনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় আসেনি। দেশটির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে এবং মঙ্গলবার রাত থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা। হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এই সপ্তাহের শেষের দিকে কথা বলবেন।

ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, চীন যদি আমাদের দেশে ফেন্টানিল পাঠানো বন্ধ না করে, তাহলে তাদের ওপর শুল্ক আরও অনেক বেশি হবে।

চীন একে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে শুল্কের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) চ্যালেঞ্জ জানাবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি, দেশটি পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। তবে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *