জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সুবিধা বাতিলে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে হোঁচট খেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ওই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি ফেডারেল আদালত।
বেশ কিছু রাজ্যের সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ফেডারেল আদালত এ আদেশ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান আইন অনুসারে, ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ দেওয়া হয়। অর্থাৎ যেই দেশটিতে জন্মাবে, সে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশটির নাগরিক হয়ে যাবে। রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তার নির্বাচনী প্রচারণায় এই নীতি বদলাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এমনকি ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর যে কয়েকটি নির্বাহী আদেশ তিনি জারি করেন, তার মধ্যে ছিল নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশটিও। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। তাছাড়া, নাগরিকত্বের এই অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সংরক্ষিত। এটি বদলাতে কংগ্রেসের দুই কক্ষেই (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেট) দুই-তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতার সমর্থন লাগবে। এর মধ্যে ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতৃত্বাধীন ২২টি অঙ্গরাজ্য এবং সান ফ্রান্সিসকো শহর ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়াসহ বহু জায়গায় ট্রাম্পের আদেশটির বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন পড়ে।
এর শুনানি গ্রহণ করে আদালত ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশটিতে ১৪ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ওয়াশিংটন রাজ্যে শুনানির সময় সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট জজ জন কগেনর বলেন, ‘এটি একটি নির্লজ্জভাবে অসাংবিধানিক আদেশ। আমি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বেঞ্চে রয়েছি। আমি আর এমন দ্বিতীয় কোনো মামলা এর আগে পাইনি। ’