অনলাইন ডেস্ক: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় বিভিন্ন মাদ্রাসার ১৫ জন শিক্ষকের এমপিও বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ যাবৎ তাদের তোলা বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অর্থ) মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘এনটিআরসিএ’র প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সব শিক্ষকের সনদ ও সুপারিশপত্র জাল ও ভুয়া। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ১৮-এর ১ (গ) এবং (ঙ) অনুযায়ী এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এসব শিক্ষকের এমপিওশিট থেকে ইনডেক্স কর্তন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুয়া সনদধারীর আবেদন পাঠানোর ক্ষেত্রে মাদরাসার প্রাধানকে সতর্ক করা হলো। অন্যথায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সরকারি কোষাগারে টাকা ফেরত দেয়ায় কোনো ধরনের শৈথিল্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান সম্পূর্ণ রূপে দায়ী থাকবেন।’
এমপিও বাতিল হওয়া ১৫ শিক্ষক হলেন- গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোকনগর দরুল হাদীস আলিম মাদরাসার বাংলার প্রভাষক মো. আশরাফুল আলম, একই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি প্রভাষক রুহুল আমিন, সনমানিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী হাজেরা, সহকারী মৌলভী তাসলিমা আক্তার, আফসার উদ্দিন আহমদ কারিগরি মহিলা দাখিল মাদরাসার গণিতের সহকারী শিক্ষক মো. শরিফুজ্জামান, নরসিংদীর মনোহরদীর জিজেপি ডোয়াইগাঁও রবিউল উলুম দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. মনির হোসেন, একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক সোনিয়া আক্তার, শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক, জুনিয়র মৌলভী রুমা আক্তার, সহকারী মৌলভী আতিকুর রহমান, তারাকান্দী টিকিউএএইচ বালিকা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক নাজমুন নাহার, বাংলার সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, জুনিয়র শিক্ষক মো. রাকিবুল, জুনিয়র মৌলভী মো. সাইফুল্লাহ ও বেলাব উপজেলার সুটরিয়া মো. ফজলুল হক খাঁন দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী তাজুল ইসলাম।
প্রতিনিধি