ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বয়ে যাওয়া আষাঢ়ের বর্ষণ ধারায় কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমর, তিস্তা ও বহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এখানে পানি বৃদ্ধি শুরু হওয়ায় ধরলা ও তিস্তা নদীর তিরবর্তী রাজারহাট উপজেলার চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তি যাত্রাপুর ইউনিয়নের কিছু এলাকা, রোমারী-রাজীবপুর এলাকায় এবং ধরলা নদীর ভাঙনে কুড়িগ্রাম সদরের হোলোখানা ইউনিয়ন ও ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।’
এসব এলাকার ভাঙন কবলিত মানুষরা তাদের বসতভিটা হারিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ওয়াপদা বাঁধসহ উঁচুস্থানে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি ফেরিঘাট (সেতু পয়েন্ট) পয়েন্টে ৬৫ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান- ধরলা, দুধকুমর, তিস্তা ও বহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়নি। তারা অশঙ্কা করছেন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নদ-নদীর পানি বুদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানিয়েছেন, জেলায় এখনও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
তারপরও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় যেকোনও ধরনের সহায়তার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।