মিয়ানমারের বিদ্রোহী বাহিনী আরাকান আর্মি (এএ) জানিয়েছে, তারা দেশের পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সদর দফতর দখল করেছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বরে) রাতে এক বিবৃতিতে এএ জানিয়েছে, দুই সপ্তাহের তীব্র যুদ্ধের পর বাংলাদেশের সীমানা সংলগ্ন রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের পতন ঘটে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এটি জান্তার দ্বিতীয় আঞ্চলিক কমান্ডের পতনের ইঙ্গিত দেয়। কারণ দেশজুড়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের মুখে জান্তা সরকার ক্রমাগত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে শনিবার মিয়ানমারের সামরিক সরকারের কোনও মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
অগাস্টে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাশিওর নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা যা মিয়ানমারের ইতিহাসে প্রথম আঞ্চলিক সামরিক কমান্ড দখলের নজির স্থাপন করে।
আর আরাকান আর্মি এবং জান্তার মধ্যে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গেলে গত বছরের নভেম্বরে রাখাইনে পুনরায় যুদ্ধ শুরু হয়। এতে বিদ্রোহী বাহিনী ধারাবাহিক বিজয় অর্জন করে।
অবশ্য কিছু রোহিঙ্গা মানবাধিকারকর্মী অভিযোগ করেছেন যে আরাকান আর্মি তাদের আক্রমণের সময় উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যার ফলে কয়েক হাজার মানুষ নিরাপত্তার জন্য পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে আরাকান আর্মি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।