Home » যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ভারত

যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ভারত

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়া দলটি টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠলো। শুক্রবার সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। এদিন আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান ১১৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে খেলতে নেমে ২২.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। আগামী ৮ ডিসেম্বর ভারতের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে তারা।

অন্য সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকেও ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। গত আসরে ভারতকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। পরে আরব আমিরাতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল তারা। এবার সেই ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার সুযোগ।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েল সামনে ১১৬ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ১১৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ সপ্তম ওভারে ২০ রানে ওপেনার কালাম সিদ্দিককে (০) হারায়। এরপর স্কোরবোর্ডে আরও ৮ রান যোগ হতেই মাঠ ছাড়েন জাওয়াদ আবরার (১৭)। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ও মোহাম্মদ শিহাব জেমস মিলে প্রতিরোধ গড়েন। তাদের ৫৭ রানের জুটিতে একশর কাছাকাছি পৌঁছে যায় দল। ৩৬ বলে ২৬ রান করে শিহার আউট হতেই জুটি ভাঙে তাদের।

জয়ের জন্য বাকি পথটা অনায়াসেই পাড়ি দেন তামিম ও রিজান হোসেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটিতে ১৬৭ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশের যুবারা। ২৩তম ওভারের প্রথম বলে অধিনায়ক তামিম চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তিনি ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪২ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান তামিম। রিজান ছিলেন ৫ রানে অপরাজিত।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে আলী রাজা, আব্দুল সোবহান ও নাভেদ আহমেদ খান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম ওভার থেকেই বাংলাদেশের পেসারদের তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারিয়ে তারা ৩৭ ওভারেই অলআউট হয়ে যায়। পাকিস্তানকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন।

পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ফারহান ইউসুফ। এর বাইরে তিন জন কেবল দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পেরেছেন- মোহাম্মদ রিয়াজউল্লাহ (২৮), সাদ বেগ (১৮) ও হারুন আরশাদ (১০)। অতিরিক্তি খাত থেকে ১৭ রান না আসলে পাকিস্তানের স্কোর একশ ছাড়াতো না।

বাংলাদেশের বোলাদের মধ্যে ইকবাল ৭ ওভারে ২৪ রান খরচায় নিয়েছেন চারটি উইকেট। ২৩ রানে দুই উইকেট নেন মারুফ মৃধা। এই দুই পেসার আগের যুব দলের সদস্য ছিলেন। এছাড়া আল ফাহাদ ও দেবাশীষ দেবা প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *