চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন – রুমিত দাস, সুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস ও সনু মেথর।
শনাক্তকৃত অন্যরা হলেন – বিকাশ দাস (১), অর্জুন দাস, বিকাশ দাস (২), শুভ কান্তি দাস (বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র), কৃষ্ণ দাস (সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজের কর্মচারী) ও বুনজা মেথর।
পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা বিকাশ দাস (১) ও বুনজা মেথরকে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রামদা ও বঁটি হাতে দুই যুবক আইনজীবী আলিফকে কুপিয়ে জখম করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রামদাধারী যুবক বিকাশ দাস এবং বঁটিধারী যুবক বুনজা মেথর।
এ ঘটনায় বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুভ কান্তি দাসকে বহিষ্কার করেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার রইছ উদ্দিন জানান, “হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের হত্যা মামলায় আসামি করা হবে। জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।”
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এদিকে, আদালতের সংরক্ষিত এলাকায় কীভাবে চিন্ময় দাসের এত অনুসারী জড়ো হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) লিয়াকত আলীকে পিওএম শাখায় বদলি করা হয়েছে।
পুলিশের তিন মামলায় গ্রেপ্তার
চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর সময় চট্টগ্রামে সহিংসতার ঘটনায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। এতে ৭৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় অন্তত ১ হাজার ৪০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ২৭ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিনিধি