Home » সিলেটে গণসমাবেশ : ১৭ দফা দাবি পেশ, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে বললো জমিয়ত

সিলেটে গণসমাবেশ : ১৭ দফা দাবি পেশ, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে বললো জমিয়ত

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন বলেছেন- দীর্ঘ ষোল বছরের জমানো আবর্জনা সাফ করে বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে আরো দায়িত্বশীলতা ও সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন- যারা দীর্ঘ ১৬ বছর দেশের মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রেখেছে, খুম, গুম ও গণহত্যার সংস্কৃতি যারা চালু করেছে, এদেশের মাটিতে অবশ্যই তাদের বিচার করতে হবে। অন্তরবর্তীকালীন সরকার এক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখালে জনগণের আস্থা ও সমর্থন হারাবে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা দক্ষিণ-উত্তর ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিপ্লবের চেতনা সমুন্নত রেখে বিপ্লবের অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

সিলেট জেলা দক্ষিণ জমিয়তের সভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান ও সিলেট মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা মুশতাক আহমদ চৌধুরী, মাওলানা এবাদুর রহমান ও মাওলানা সিরাজুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জমিয়তের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন- হাজার হাজার ছাত্রজনতার রক্তে অর্জিত এই মহাবিপ্লব ব্যর্থ হতে পারে না।

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেওয়ার জন্য সরকারে প্রতি আহবান জানান তিনি।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন– ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্রকায়েমের জন্য মদীনাসনদের আদলে সংবিধান তৈরি করতে হবে এবং প্রশাসনকে ঢেকে সাজাতে হবে। বিচার বিভাগকে পরিপূর্ণভাবে স্বাধীন করা ছাড়া ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় বলে জমিয়ত মহাসচিব মন্তব্য করেন। গণসমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন– সিলেট জেলা উত্তর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রখ্যাত আলেম মাওলানা আলিম উদ্দীন দুর্লভপুরী, জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মাওলানা আব্দুল বছির, সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুশতাক আহমদ খান, জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা তাফাজ্জল হক আজিজ,জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা হিলাল আহমদ, মহাসচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তোয়াকুলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মুহাম্মদ আলী, জমিয়তের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন খান, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা জাবের কাসেমী, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালিক কাসিমী, কেন্দ্রীয় আমেলার সদস্য মাওলানা বদরুল ইসলাম, মাওলানা নজরুল ইসলাম, আলহাজ শামসুদ্দিন, ছাত্র জমিয়তের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, সিলেট মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, মাওলানা আব্দুল জব্বার, শায়খ মাওলানা আব্দুশ শহীদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েস, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমদ প্রমুখ।

গণসমাবেশে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট প্রতিষ্ঠা, জুলাই গণহত্যা ও শাপলা চত্ত্বরের গণহত্যার বিচার, সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, গ্যাস সংযোগ চালু করা, সিলেট-আখাউড়া ডাবল রেললাইন চালু করা, ঢাকা-সিলেট ৬ লেনে সড়ক নির্মাণ, ওসামানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর, কওমি সনদের স্বীকৃতি কার্যকর, মাজারে অনৈসলামিক কার্যক্রম বন্ধ করাসহ ১৭ দফা দাবি পেশ করা হয়।

গণসমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত আলেম মাওলানা শফিকুল হক সুরইঘাটি, রেঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান, মাওলানা শায়খ আব্দুল মতিন নাদিয়া, মাওলানা শায়খ আতিকুর রহমান, মাওলানা আব্দুল গফফার ছয়ঘরী, প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান , মাওলানা মনজুর আহমদ সালিম, মাওলানা মাহফুজ আহমদ, মাওলানা আলী আহমদ, মাওলানা কাজি আমিন উদ্দীন, মাওলানা আব্দুস সালাম বালাগঞ্জি, মাওলানা হাসান আহমদ, এম বেলাল আহমদ চৌধুরী, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা আখতারুজ্জামান, মাওলানা এমাদ উদ্দীন সালিম, মাওলানা ফয়সল আহমদ, মাওলানা শামিম আহমদ, মাওলানা লুতফুর রহমান, মাওলানা ফরহাদ আহমাদ, মাওলানা লুকমান হাকীম, কাওসার আহমদ, জাকির হোসাইন, আবু খয়ের প্রমুখ।

সমাবেশের শেষ পর্যায়ে আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস লক্ষীপুরী মুনাজাত পরিচালনা করেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *