Home » আসামে এনআরসি’র খসড়া তালিকায় বাদ পড়ার আশঙ্কায় দুই কোটি বাংলাদেশী

আসামে এনআরসি’র খসড়া তালিকায় বাদ পড়ার আশঙ্কায় দুই কোটি বাংলাদেশী

ভারতের আসামে নাগরিকত্ব নিবন্ধ এনআরসি’র চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় বাদ পড়তে পারেন প্রায় ২ কোটি বাঙালি। ৩০ জুন এই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে। যদিও ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে প্রথম দফার মতই চূড়ান্ত তালিকাতেও নাম না থাকার শঙ্কা বহু মানুষের। এমকি তালিকা প্রকাশের সময়ও পিছিয়ে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত খোদ এনআরসি’র কর্তৃপক্ষের। যদিও তাদের দাবি নির্ভূলভাবেই প্রস্তুত করা হয়েছে এই তালিকা।’
‘আসামের নাগরিকত্ব নিবন্ধন এনআরসি’র দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত খসড়া দফার তালিকা প্রকাশের বাকি মাত্র দুই দিন। ‘তাই নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার পাশাপাশি যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে কেন্দ্র থেকে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।’বিতর্ক ছিল প্রথম দফা তালিকা প্রকাশেই, সে সময় প্রায় ৩ কোটি ২৯ লাখ আবেদনকারি থাকলেও তালিকা প্রকাশ করা হয় মাত্র ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের। অভিযোগ উঠে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় অনেক সংখ্যা লঘুকে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের সময় নির্ধারণ করা হয় ৩০ জুন। তবে বন্যা এবং সময় স্বল্পতার কারণে সেই সময়ও পেছাতে আদালতের দারস্থ হতে পারে কেন্দ্র।’

‘ভারতের এনআরসি’র সমন্বয়ক প্রতিক হাজেলা বলেন, খসড়া তালিকা প্রস্তুতির জন্য তৃর্ণমূল পর্যায় থেকে আমরা নাগরিকদের জন্ম নিবন্ধন সনদ, হাসপাতালের সনদ, প্রাথমিক শিক্ষা সনদের মত নথি থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। ৫০ হাজারের বেশি এনআরসি কর্মী এই খসড়া তালিকা প্রস্তুতের কাজ করেছেন। তবে এটা সত্য সময় খুব কম পেয়েছি আমরা। বন্যার কারণে আমদের কাজ বাধাগ্রস্তও হয়েছে। কে নাগরিক আর কে বিদেশি সেটা সিদ্ধান্ত নেয়ার ইখতিয়ার শুধুই সরকারের। কারণ বিষয়টি সাথে পররাষ্ট্র আইন জড়িত। তাই খসড়া প্রস্তুতের পর তালিকায় যদি কারো নাম না থাকে তাহলে আমরা তাকে বিদেশি কিংবা অবৈধ অভিবাসি বলতে পারি না। সুতরাং তালিকায় নাম না থাকলে তার আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কোনো ধরণের গুজবেও কান দেবেন না। তালিকা আবারো যাছাই বাছায়ের সুযোগ আছে।’

‘ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় বাদ পড়তে যাচ্ছে ২ কোটির মত বাঙালি। রাজ্য সরকারের দাবি এদের বেশির ভাগ বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারি। যারা বৈধ্য কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

‘এ পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব হারানোর শঙ্কায় রাজ্যটির সাধারণ মানুষ। তবে এনাআরসি’র কর্তৃপক্ষ বলছে এসব শঙ্কা অনুলোপ।’

‘এনআরসি’র তালিকা প্রস্তুতের আগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চের আগে থেকে যারা আসামে থাকতেন, কেবল তাদের দলিল প্রমাণ হাজির করলেই তাদের ভারতের নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন।’সূত্র : যমুনা টেলিভিশন

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *