ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে করা মামলা নিয়ে আপাতত অগ্রসর হবে না আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) পেনসিলভিনিয়ার এক বিচারক এ কথা বলেছেন। ফলে ৫ নভেম্বর নির্বাচনের আগে মাস্কের ১০ লাখ ডলারের লটারি বন্ধ হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
পেনসিলভিনিয়ার শুনানিতে বিচারক অ্যানজেলো ফজলিয়েট্টা বলেছেন, মামলাটি গ্রহণ করা হবে কিনা তা যাচাই করছে ফেডারেল কোর্ট। তাই আপাতত শুনানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার আগে এই মামলার সমাধান হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে, ভোটারদের অর্থ উপহার দেওয়া নিয়ে আইনিভাবে মাস্কের বিরুদ্ধে কোনও বাঁধা নেই।
অবশ্য, আদালতে তলব অমান্য করে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না ইলন মাস্ক।
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণার জন্য উদারহস্তে ডলার খরচ করছেন মার্কিন ধনকুবের। সেই কার্যকলাপের একটা অংশ ছিল ১০ লাখ ডলারের লটারি ঘোষণা। চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সাত অঙ্গরাজ্যের (সুইং স্টেট) ভোটারদের মধ্য থেকে নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিন একজনকে এই অর্থ প্রদান করার আয়োজন করেন তিনি। লটারিতে অংশগ্রহণের শর্ত ছিল দুটি- নিবন্ধিত ভোটার হতে হবে এবং বাকস্বাধীনতা ও বন্দুক বহন আইনের সমর্থনে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করতে হবে।
মাস্কের এই অর্থ উপহার উদ্যোগ বন্ধের চেষ্টা করছেন ফিলাডেলফিয়া ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ল্যারি ক্রেসনার। তিনি অভিযোগ করেছেন, চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য এই আয়োজন করেছেন টেসলা ও স্পেস এক্সের মালিক।
আসন্ন নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রধান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে সাতটি সুইং স্টেটের। ফলে মাস্কের লটারি ওভাল অফিসের নেতা নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।