স্মার্টফোন বর্তমানে আমাদের জীবনে সার্বক্ষণিক সঙ্গী। কিন্তু আমরা অনেকেই প্রয়োজনীয় এই গ্যাজেটটি রিবুট (রিস্টার্ট) এবং রিফ্রেশ করি না। এর ফলে কী অজান্তে আমরা ডিভাইসটির ক্ষতি করে চলেছি? চলুন জেনে নিই।
আপনার ফোনকে সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও কেন রিস্টার্ট করবেন, তার একাধিক কারণ রয়েছে। এবং সবগুলো কারণ ভালো। যেমন: ফোনের মেমোরি ধরে রাখা, ক্রাশ প্রতিরোধ, ফোন আরো ভালোভাবে চলমান রাখা এবং ব্যাটারির আয়ু বাড়ানো।
প্রতিদিন আপনার অ্যাপস ব্যবহারের কথায় আসা যাক। লস অ্যাঞ্জেলেসের একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বব মোটামেডি বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অ্যাপস বন্ধ করা হলেও তা আসলে সত্যিকার অর্থে বন্ধ হয় না। কেননা তা দ্রুত আবার লোড হওয়ার জন্য বন্ধ করার পরও সক্রিয় থাকে।’
‘তাহলে এবার ভাবুন তো, প্রতিদিন আপনার কতগুলো অ্যাপস খোলা হয় এবং তা সক্রিয় থেকে ধীরে ধীরে ফোনের মেমোরি এবং ব্যাটারি শেষ করতে থাকে। এবং ভাবুন তো আপনাকে প্রতিদিনই এ কারণে ভাবতে হয় যে, ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
ফোন রিস্টার্ট করলে খোলা অ্যাপসগুলো পুরোপুরি বন্ধ হয় এবং র্যাম বাঁচে অর্থাৎ ব্যাটারির শক্তিক্ষয় করছে এমন সবকিছু থেকে ফোন পরিত্রান পায়।
ফোন নানা কারণে ক্র্যাশ করতে পারে কিন্তু আপনি যদি ফোন রিস্টার্ট না করেন তাহলে তার প্রভাব এক্ষেত্রে স্পষ্টভাবেই পড়তে পারে। প্রতিটি আপডেট, পেজ লোড এবং অ্যাপ ইনস্টল অথবা ডিলেটের সময় ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের কোড যুক্ত হয় অথবা মুছে।
‘কখনো কখনো ইনস্টল অথবা আনইনস্টল করার পরে এসবের বেমানান বা অসঙ্গত অংশ থাকে। ফোন রিস্টার্ট করা হলে এগুলোর অধিকাংশই নিষ্কাশন হয় এবং ফোন ভালো কাজ করে।’- বলেন মোটামেডি।
ব্যাটারি সর্বদা চার্জ করার জন্য দ্রুত শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে দায়ী কি। ‘আপনি যদি ফোনের ব্যাটারি চার্জ সম্পূর্ণভাবে শেষ না করেন, তাহলে তা সম্পূর্ণভাবে রিচার্জও হবে না এবং ব্যাটারি লাইফ কম হবে।’ – মোটামেডি বলেন।
‘এজন্য সুপারিশ করা হয় যে, আপনি আপনার ফোনের ব্যাটারি চার্জ শূন্য শতাংশে নামিয়ে নিয়ে আসুন এবং তারপর ১০০ শতাংশ চার্জ করুন।’
ফোনের মেমোরি বাঁচাতে এবং ক্র্যাশ থেকে মুক্ত থাকতে, সপ্তাহে অন্তত একবার ফোন রিস্টার্ট করুন।
নির্বাহী সম্পাদক