সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগরের এলাকার একটি বাসায় মা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে শহরের পুলিশ সুপারের বাংলোর পাশের একটি বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার বসিয়াখউরি গ্রামের প্রয়াত জাহিদুল মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৫) ও ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২০)।খুন হওয়া মা ও ছেলে পৌর শহরে এক আত্মীয়ের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।
ওসি বলেন, মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। বাসায় থাকা খালাতো বোনের ছেলে ফয়সাল ও ফাহমিদ পলাতক। নিহতেরলাশ দু’টির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর পর ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছেন, শহরের হাছননগরে পুলিশ সুপারের বাংলোর পাশে প্রবাসী আত্মীয়ের বাসায় ফরিদা বেগম, তার ছেলে এবং তাদের দুঃসম্পর্কের বোনের পরিবার ভাড়া থাকতেন। গৃহকর্মী ও প্রতিবেশীরা সকালে এসে ঘর খোলা ও তাদের লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেন। এসময় লাশের পাশে রক্তাক্ত বটি-দা ছিল। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ দু’টি উদ্ধার করে।
ঘরে থাকা ফরিদার খালাতো বোন নারগিসকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেলেও তার বড় ছেলে ফয়সাল ও ছোট ভাইকে পাওয়া যায়নি। অসুস্থ অবস্থায় নার্গিসকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহের কাজ করছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।