ভারতের ওড়িশা রাজ্যের স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১১টার পর ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে শুরু করে। ঝড়টি এখনও স্থলভাগে রয়েছে। ঝড়ের কারণে রাজ্যে একাধিক স্থানে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।
আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশটি ১১০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় এক আপডেটে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলেছে, ‘পরবর্তী ১ থেকে ২ ঘণ্টা ঝড়টি স্থলভাগে অবস্থান করবে।’
স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর ঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিষেবাগুলো স্থগিত করা হয়েছিল। আজ সকাল ৮টা থেকে আবারও সব স্থগিত রাখার গোষণা দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কর্তৃপক্ষ লাখ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ৪ শতাধিক ট্রেন পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। স্থগিত রাখা হয়েছে ফ্লাইটও।
ওড়িশায় মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির নেতৃত্বাধীন সরকার বলেছে, প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন তারা। ৩৮৫টি উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যের ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৭৪ জন আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।