ভারতে ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। আজ রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান তিনি।
প্রণয় ভার্মা জানান, লোকবল এখনো কম থাকায় বাংলাদেশিদের জন্য এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না ভারতের ভ্রমণ ভিসা। তবে চিকিৎসা ও শিক্ষাকাজে জরুরি ভিসা সীমিতভাবে চালু আছে।
বৈঠকে ঢাকা-দিল্লি ফরেন অফিস কনসাল্টেশন নিয়ে ভারত দ্রুত করতে চায় বলে জানায়। পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক জোরদার ও স্বাভাবিক করতে কাজ করছে দুদেশ।
বৈঠকে শেখ হাসিনা ইস্যুতে আলোচনা হয়নি বলে জানা যায়।
আড়াই মাস ধরে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভ্রমণ ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে ভারত। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে দেশটির ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলো বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়, তবে তা শুধু চিকিৎসার জন্য এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নয়। কিন্তু ভ্রমণ ভিসা এখনো দেওয়া হচ্ছে না।
কবে নাগাদ চালু হতে পারে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি ভারত সরকার।
ভারতীয় ভিসা জটিলতা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ভিসা দেওয়া বা না দেওয়া একটি দেশের সার্বভৌম অধিকার। এটি নিয়ে আমরা প্রশ্ন করতে পারি না। যেটি আমরা করতে পারি এবং করেছি, সেটি হচ্ছে আমাদের পক্ষ থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বুঝিয়ে বলা হচ্ছে, আমাদের সমস্যার কথা।’
তৌহিদ হোসেন তখন বলেন, ‘ভারতীয় ভিসা দেওয়া নিয়ে জটিলতা চলছে। এখন মাত্র ১০ শতাংশ ভিসা দেওয়া হচ্ছে। ভারতে শুধু জরুরি চিকিৎসা ভিসা ছাড়া আর সবকিছু বন্ধ। ১০ শতাংশ সক্ষমতায় তারা কাজ করছে। এটিতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমার আপত্তি হচ্ছে অন্য দেশের জন্য যে সমস্যা তৈরি সেখানে।’