অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করে এবং ছাত্র-আন্দোলনে নিহত আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে সমালোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সাময়িক বরখাস্তকৃত) তাপসী তাবাসসুম উর্মি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন।
তিনি সিলেটের এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে ঢুকেন।
সমালোচনায় পড়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে রবিবার (৪ অক্টোবর)। এদিন সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, রংপুর বিভাগ, রংপুরের ০৬ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখের প্রজ্ঞাপন নম্বর : ০৫.৪৭.০০০০.০০৬.০৮.০০৩.২২.৪০১ মোতাবেক তাপসী তাবাস্সুম উর্মি (পরিচিতি নম্বর-১৯২৮৬), সহকারী কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, লালমনিরহাটকে সহকারী কমিশনার হিসেবে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, রংপুর বিভাগ, রংপুরে বদলি করায় বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নিমিত্ত ০৬/১০/২০২৪ খ্রি. তারিখ অপরাহ্ণে অবমুক্ত করা হলো।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।
তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী। ঊর্মিররা কেউ গ্রামের বাড়িতে থাকেন না। তারা দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহে অবস্থান করছেন। মাঝে মধ্যে তারা বাড়িতে যান।
ঊর্মিদের প্রতিবেশী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঊর্মি মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ঊর্মি বড়। ছোট ভাই জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন। বাবা দীর্ঘদিন ময়মনসিংহ আনন্দমোহন সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। তবে তাদের পরিবার কোনোদিন রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলো- এমনটি জানা নেই।