ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আজ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। হামলার পর ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজতে থাকে এবং দেশটির নাগরিকেরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছোটেন। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে রিপোর্টারদের মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা যায়।
রয়টার্সের সাংবাদিকেরা ইরান ও ইসরায়েলের প্রতিবেশী দেশ জর্ডানের আকাশসীমায় ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে দেখেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বার্তা দিয়ে দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলে।
‘সাইরেন শুনলে আপনাকে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে,’ বলা হয় বার্তায়।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরান থেকে বড় ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হতে পারে। হামলার সময় নাগরকিদের নিরাপদ কক্ষে অবস্থান করতে বলা হয়।
পরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট করা গেছে। কয়েকটি ইসরায়েলের ভূমিতে আঘাত হেনেছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
লেবাননে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর এর বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তেহরান।
ইসরায়েলি বাহিনী আজ মঙ্গলবার লেবাননে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করার পর তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। প্রায় এক বছর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ওই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আজ লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নতুন মাত্রা নিয়েছে।