অনলাইন ডেস্ক: অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার সময় হাকিনুর রহমান নামে এক লম্পট মাদ্রাসা শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করেছে এলাকাবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বিকাল চার দিকে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া মুন্সিপাড়া দাখিল মাদ্রাসায়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহুমুদুল হাসান শিহাব জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক একই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ার সময় আটকে রাখে এলাকাবাসি। আটক শিক্ষক বড়ভিটা ইউনিয়নে বড়ভিটা বাজারের,মৃত আমানুল্লাহর ছেলে হাকিনুর রহমান (৪২) ও মাগুড়া ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রামের দিনমজুর শেরশাহের মেয়ে ওই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ।
পরে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে মাগুড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যার স্বামী ও ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান জুয়েল প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষককে থানায় সোর্পদ না করে তাঁকে নিজ জিম্মায় নিয়ে চলে যান। জুয়েলের এমন কর্মকান্ডে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে আখতারুজ্জামান জুয়েল বলেন, ভাই আমি এলাকাবাসীর মধ্যে থেকে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে উদ্ধার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তাই আমি কমিটির সভার সাথে আলোচনা করে শিক্ষককে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামছুল হক বলেন, ওই শিক্ষক যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা অত্যান্ত খারাপ কাজ । সে গোটা শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর পিতা মাতা ও ছাত্রীটির সাথে কথা বলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
ছাত্রীটি বাড়িতে না থাকায় তাঁর সাথে কথা বলতে না পেরে ছাত্রীটির মা চিনি বেগম বলেন, বাবা আমরা গরীব মানুষ এখন আমি কিভাবে মেয়েটির বিয়ে দেব। আমাদের মান সম্মান সব শেষ হয়ে গেলো। তাছাড়া আমার মেয়েটি তিনমাসের অন্তসত্তা । মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রংপুর পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে মাগুড়া মুন্সিপাড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক হাকিনুর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য তাঁর বাড়িতে গেলে সে বাড়িতে না থাকায় তাঁর মোবাইলে(০১৭৫০১৪৬২৫৬) ফোন দিলে সে ফোন কেঁটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে মেয়েটির বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত মেয়েটির পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ দিলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক