Home » সিলেটে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৩০ জন, সারা দেশে ৭০৮

সিলেটে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৩০ জন, সারা দেশে ৭০৮

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের সরকারি তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৭০৮ জনের পরিচয় জমা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগের চার জেলায় নিহতদের মধ্যে ৩০ জনের বিস্তারিত পরিচয় জানা গেছে। এ সংখ্যা পরবর্তী সময়ে আরও বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব উম্মে হাবিবার সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এ খসড়া তালিকার তথ্য জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে (২০২৪) সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য সংশোধন/সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সিলেট অঞ্চলের নিহত যে ৩০জনের বিস্তারিত পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন- সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর এলাকার মরহুম মাস্টার আব্দুর রহিমের ছেলে সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাব, নয়াগ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মইনুল ইসলাম, কাকুরা এলাকার তখলিছুর রহমানের ছেলে সুহেল আহমদ, মোল্লাপুরের নিদনপুর এলাকার মৃত রফিক উদ্দীনের ছেলে তারেক আহমদ।

গোলাপগঞ্জের ঘোষগাঁও এলাকার মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন, ঢাকাদক্ষিণ রায়গড় এলাকার সুরাই মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ, শিলঘাট এলাকার কয়ছর আহমদের ছেলে ছানি আহমদ, বারকোটের মকবুল আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন।

সিলেট নগরীর কুমারগাঁও নয়াবাজার ধামালিপাড়ার ফজর আলির ছেলে মোতালিব, সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের এনাতাবাদ এলাকার কনর আলির ছেলে ওয়াসিম।

গোয়াইনঘাটের মাতুরতল ইসলামাবাদ এলাকার ওসমান গনির ছেলে নাহিদুল ইসলাম, মাতুরতল পান্তুমাই এলাকার ফখর উদ্দীনের ছেলে সিয়াম আহমদ, মাতুরতল পিনাইকোনা এলাকার আবদুন নূর বিলালের ছেলে সুমন মিয়া।

এছাড়া হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শিমুলঘর, ছাতিয়াইন এলাকার মৃত শেখ লাল মিয়ার ছেলে শেখ মো. শফিকুল ইসলাম শামীম, নবীগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, রাজাবাদ এলাকার মৃত মজর আলীর ছেলে আজমত আলী, বানিয়াচং উপজেলার চানপুর এলাকার মৃত তাহের আলীর ছেলে আকিনুর রহমান, যাত্রাপাশা ভাঙ্গারপাড় এলাকার মো. ছানু মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়া, মুড়িয়াউক ইউনিয়নের তেঘরিয়া এলাকার মৃত মো. সালেক মিয়ার ছেলে মামুন আহমদ রাফসান, কামালখানী এলাকার মৃত মো. আলী হোসেনের ছেলে শেখ নয়ন হোসেন, সাগর দিঘীর পূর্বপাড় এলাকার মৃত মোশাহিদ আখঞ্জীর ছেলে সোহেল আখঞ্জী, খন্দকার মহল্লার মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. আনাস মিয়া, জাতুকর্ণপাড়ার মো. আঃ নুরের ছেলে মো. আশরাফুল আলম, পুরভাগ এলাকার মো. ধলাই মিয়ার ছেলে মো. সাদিকুর রহমান, জাতুকর্ণপাড়ার আব্দুর রৌফ মিয়ার ছেলে মো. তোফাজ্জুল হোসেন, লাখাই উপজেলার কামালপুরের মো. ছোয়াব মিয়ার ছেলে মনায়েল আহমেদ ইমরান, মুড়িয়াউক এলাকার মৃত আবদুল আজিজের ছেলে নাহিদুল ইসলাম ও হবিগঞ্জ পৌরসভার অনন্তপুর আবাসিক এলাকার রতন চন্দ্র শীলের ছেলে রিপন চন্দ্র শীল,

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালীর গোলামীপুর এলাকার মো. আবুল কালামের ছেলে সোহাগ মিয়া, ধর্মপাশার দুর্গাপুর, জয়শ্রী এলাকার মো. ছফেদ আলী হৃদয় মিয়া, মধ্যনগরের চামরদানী এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আয়াতুল্লাহ ইসলাম।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই/সংশোধন/পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে অনুরোধ করা হলো। প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধনের জন্য নিম্নরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে—শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের পর শহীদ ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে। প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোয় তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে। পূরণকৃত তথ্য নিয়ে সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধি কর্তৃক পূরণকৃত ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন। দাখিলকৃত তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হলো কি না, তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের মধ্যে কারও নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকলে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিকে প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক/সিভিল সার্জন/ইউএনও/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *