রাঙামাটি পৌর এলাকায় প্রত্যাহার করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, শহরের পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় রবিবার বেলা ১১টা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিকে, দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর বিক্ষুব্ধ পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে দ্বিতীয় দিনের মতো।
অবরোধের কারণে রবিবার সকাল থেকে জেলা সদর থেকে সব রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে আটকে পড়েছেন ১৫ শতাধিক পর্যটক।
অপরদিকে, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শহরের অভ্যন্তরীণ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম সিএনজি অটোরিকশাসহ ট্রাক, মিনি ট্রাকসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাঙামাটি শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করেছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। শহরের হ্যাপির মোড়, বনরুপাসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, সদর সেনা জোনের জোন কমান্ডার মো. এরশাদ হোসেন চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক জানান, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সহিংসতার ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলা অনুযায়ী তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। যারা আইন হাতে তুলে নিয়েছে, তারা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।’