পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে ১১টি গুজব ছড়ানো হয়েছে। এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম। ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, “গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চুরিকে কেন্দ্র করে গণপিটুনিতে মো. মামুন নামে এক বাঙালি যুবককে হত্যা করার জের ধরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংঘাতের এই রেশ পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙামাটিতেও ছড়িয়েছে। এসেছে মৃত্যুর খবরও। এই ইস্যুতে থেমে নেই গুজব ও অপতথ্যের প্রবাহ। রিউমর স্ক্যানার পাহাড়ের এই সংকট নিয়ে এখন পর্যন্ত ১১টি গুজব শনাক্ত করেছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেশ কিছু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের সঙ্গে অস্ত্র হাতে পাঞ্জাবি পরিহিত এক ব্যক্তির ছবি পোস্ট (১, ২) করে দাবি করা হয়, ছবিটি সম্প্রতি পার্বত্য এলাকার ঘটনার দৃশ্য।
তবে রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি পার্বত্য এলাকার নয়। রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত ১৬ আগস্ট কারাগারে উত্তেজনা বিরাজ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যায় সেনাবাহিনীর একটি দল। সে সময়ের ছবি এটি। তবে অস্ত্র হাতে পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, সে সময় সিভিল ড্রেসে থাকা একাধিক ব্যক্তির হাতেই অস্ত্র ছিল।”পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে ১১ গুজব শনাক্ত করলো রিউমার স্ক্যানার