গাজার দক্ষিণে আল-মাওয়াসির ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি শক্তিশালী এমকে-৮৪ বোমা ব্যবহার করেছে ইসরায়েল। গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, দুই হাজার পাউন্ডের এই বোমার আঘাতে নিহতদের অনেকের মরদেহ গলে গেছে। এমনকি অনেকে পুরো মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে। একটি মানবাধিকার সংগঠনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর জানায়, আল-মাওয়াসির শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি তিনটি ৯০০ কেজি ওজনের এমকে-৮৪ বোমা ফেলে। এই বোমাগুলো গভীর গর্ত তৈরি করেছে, যেখানে প্রায় ২০টি তাঁবু মাটির নিচে চাপা পড়েছে। পুরো পরিবারসহ অনেকে মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
সোমবার ভোর রাতের এ হামলায় অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বহু মানুষ আহত হয়েছে। এমন সময় এসব বোমা ফেলা হয় যখন সবাই ঘুমাচ্ছিল। অথচ এই এলাকাকে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিশ্চুপ থাকা ইসরায়েলকে আরও অপরাধ করতে উৎসাহিত করছে। যুদ্ধের ইতিহাসে এমন নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ডের প্রতি অবহেলা লজ্জাজনক এবং এটি ইসরায়েলকে আরও অপরাধ চালিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রও এই অপরাধের অংশীদার, কারণ দেশটি ইসরায়েলি বাহিনীকে এমন অস্ত্র সরবরাহ করছে যা বেসামরিকদের হত্যার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।