ডেস্ক নিউজ: ঈদের সময় ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া চলাচল করছে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন। ঈদের দিন থেকে পরবর্তী ৩ দিনে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন অন্তত ২৫ জন।’ এছাড়া শুধু রাজধানীতেই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ২০০ জন। ‘ পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালানোর ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটছে ,
ঈদকে ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশের সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে পড়ায় বেপরোয়া চলাচল করে সব যানবাহন। দ্রুত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। ঈদের আগের দিন থেকে ৩ দিনে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যাই বেশি। এদের মধ্যে আবার বেশি রয়েছে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত।’ জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন আমাদের এখানে যে পরিমাণ লোক এসেছে, তা হলো ১৭৩ জন। ‘ এদের মধ্যে রোড ট্রাফিক অ্যাক্সিডেন্টের রোগী ৮২ জন। ‘ ঈদের দিনের সংখ্যাটাই এবারে বেশি দেখা যাচ্ছে।’ ঈদের পরদিন এসেছে ৬৩ জন। বেশিরভাগই মারাত্মক আহত হয়ে আসেন। এদের মধ্যে অনেকেই মারা যান, অনেকেরই হাত-পা কেটে ফেলতে হয়।’ বেপরোয়া যান চলাচলের ফলে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গত ৩দিনে সারাদেশে ২৫ জন প্রাণ হারায়। ” ঈদের পরদিন রোববার রাতেই দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে পিকনিক শেষে ফেরার পথে নীলফামারীর বাইপাস সড়কে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন ৯ জন।
“বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, গত তিন বছরে ঈদকে ঘিরে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে কমছে। তবে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক আইন মানার পাশাপাশি সতর্কতা বৃদ্ধির প্রতি জোর দেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।’
পরিবহন বিশেষজ্ঞ সাইফুন নেওয়াজ বলেন, প্রতি বছরই আমরা দেখি যে ঈদের পর রাস্তাটা ফাঁকা থাকার কারণে অ্যাক্সিডেন্টের সংখ্যাটা ঈদের আগের চেয়ে আরও অনেক বেড়ে যায়। কারণ রাস্তাঘাট যখন ফাঁকা থাকে, চালক গতি বাড়িয়ে দেয়।’ একারণেই যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মোটরসাইকেল চালানোর সময় যেন হেলমেট সবাই পরিধান করে এবং গাড়ি চালানোর সময় যেন সিটবেল্ট বাঁধে।’
‘ঈদের আগে ও পরে রাজধানীর ফাঁকা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা কম লক্ষ্য করা যায়। এই সুযোগে এক ধরনের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে যানবহনগুলো। বেপরোয়া চলাচলের করণে সড়কে থামছে না মৃত্যুর মিছিল।

বার্তা বিভাগ প্রধান