বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছয় চিকিৎসককে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে ওই মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ শিক্ষককে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্ত্তী স্বাক্ষরিত নোটিশে এসব আদেশ দেওয়া হয়। বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ শিশির রঞ্জন চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এর বিরোধিতা করায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওসব চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে সিন্ডিকেট সভায়।’
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৯ আগস্টের কাউন্সিলে গঠিত তদন্ত কমিটি কর্তৃক ৩১ আগস্টের সুপারিশের প্রেক্ষিতে এই জারি করা হলো। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় হাসপাতালের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাসরিন আখতার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মইনুল ইসলাম, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক, প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সত্যব্রত ঘোষ, কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আজিজুর রহমান ও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আশিক আনোয়ারকে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিপক্ষে থাকায় এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. পংকজ পাল, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অনামিকা দাস ও সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি আন্দোলন চলাকালে মধ্যরাতে ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেওয়ায় অধ্যাপত ডা. সুস্মিতা রায় ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. নিবেদিতা দাশকে শোকজ করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র আরও জানায়, আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হুমকি দেওয়ায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের তালিকার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ব্যাচের আট চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। তারা হলেন- এমবিবিএস ৫৪ ব্যাচের সাইফুল ইসলাম, এমবিবিএস ৫৪ ব্যাচের সৌম্যজিৎ দে, এমবিবিএস ৪৮ ব্যাচের সাইফুল হাই, এমবিবিএস ৫৩ ব্যাচের মিল্টন আহমেদ, এমবিবিএস ৫১ ব্যাচের সজল এস চক্রবর্তী, এমবিবিএস ৫৩ ব্যাচের ইলহামুর রহমান, এমবিবিএস ৫৫ ব্যাচের রাকিব হাসান ও এমবিবিএস ৫৫ ব্যাচের রঞ্জন সরকার।