ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুর্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিনদিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সিলেট সিটি করপোরেশনের আওয়ামীপন্থী বেশ কিছু কাউন্সিলরের বাসা-অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। মূলত এর পর থেকেই লাপাত্তা সিসিকের অনেক কাউন্সিলর। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে এসব ওয়ার্ডের নাগরিক সেবা। তবে সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম দিকে সেবা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হলেও বর্তমানে সেসব ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরের মাধ্যমে সেবা নিতে পারছেন নগরবাসী।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, সিসিকের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ. কে. এ লায়েক, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মখলিছুর রহমান কামরান, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আজাদুর রহমান আজাদ, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রুহেল আহমদ, ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম গত ৫ আগস্টের পর থেকেই লাপাত্তা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো নিজ কার্যালয়ে ফেরেন নি তারা। জানা যায় সিসিকের অনেক কাউন্সিলর রয়েছেন ঘরছাড়া। নতুন নতুন মামলার আসামি হচ্ছেন অনেকেই। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জেলে রয়েছেন ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু।
বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সিলেট করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন- নগরভবনে প্রতিদিন উপস্থিত হওয়ার কাউন্সিলরদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে সেবা দিতে হবে, এটি বাধ্যতামূলক। কয়েকজন সাধারণ কাউন্সিলরকে পাচ্ছেন না নাগরিকরা, এটি সত্যি। তবে সংরক্ষিত ওয়ার্ড (নারী) কাউন্সিলরদের দ্বারা তাদের কাজ পূরণ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন- দীর্ঘদিন কোনো কাউন্সিলরের সেবা না দেওয়ার বিষয় প্রমাণিত হলে স্থানীয়র সরকার আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।